ঢালিউডে নন্দিত নায়িকা শাবনূর চলতি বছরের শুরুতে যেমন কাউকে না জানিয়ে হুট করে গোপনে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমিয়েছিলেন, তেমনি কাউকে না জানিয়ে গোপনেই দেশে ফিরে এসেছেন বলে ঘনিষ্ঠসূত্রে জানা গেছে। গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরলেও নিজেকে এখনো শাবনূর রহস্যজনক অন্তরালে লুকিয়ে রেখেছেন।
শাবনূর জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে দেশে ফিরবেন বলে জানেন ঢালিউডের অনেকেই। কিন্তু প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই তিনি দেশে ফিরেছেন বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে। তার এই গোপনে দেশে ফিরে আসা আর নিজেকে লুকিয়ে রাখার কারণ মোটেও স্পষ্ট নয়।
শাবনূর দেশে ফিরেছেন প্রায় ছয়মাস পর। এতোদিন ছিলেন স্বামী চাইনিজ বংশদ্ভূত অষ্ট্রেলিয়ান নাগরিক জ্যাকলি চ্যাঙের সঙ্গে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য শাবনূরের ছোটবোন ঝুমুর ও ছোটভাই তমাল সপরিবারে বহুদিন ধরেই বাস করছেন। শাবনূরের নিজেরও সেখানে স্যাটেল করার পরিকল্পনা রয়েছে। যার কারণে স্বামী ও ভগ্নিপতির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় তিনি নিজেকেও ব্যবসায় জড়িয়েছেন।
ঢালিউডের বেশ কিছু ছবি এখনো শাবনূরের কারণে অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো নামি পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘ভালবাসা সেন্টমার্টিনে’ ও নাজিমউদ্দিন চেয়ারম্যান প্রযোজিত ও মোস্তাফিজুর রহমান বাবু পরিচালিত ‘অবুঝ ভালবাসা’ ছবির কাজ। উত্তম আকাশ পরিচালিত দুটি ছবি ‘লাইলী মজনু’ এবং ‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি’-তেও অভিনয়ের জন্য তিনি চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন।
পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনকে একাধিকবার তিনি জানিয়েছেন, জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে দেশে ফিরে দীর্ঘদিন থেকে ঝুলে থাকা ‘ভালবাসা সেন্টমার্টিনে’ ছবির কাজ শেষ করে দিয়ে যাবেন। কিন্তু দেশে ফিরেও তিনি শহীদুল ইসলাম খোকনের সঙ্গে যোগাযোগের সৌজন্যতা দেখান নি। দেশে তিনি ফিরেছেন, এটি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবার কাছেই তিনি গোপন রেখেছেন। ঘনিষ্ঠসূত্রে জানা যায়, দেশের কিছু সহায়-সম্পত্তি গোছানোর কাজেই মূলত তার এবারের স্বদেশ-প্রত্যাবর্তনের কারণ। শাবনূরের ঘনিষ্ঠজন সূত্রে আরো জানা গেছে, চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ একেবারেই হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। মাঝখানে খানিকটা স্লিম হলেও আবার নাকি শাবনূর অস্বাভাবিক রকম মুটিয়ে গেছেন।
এখন দেশে ফিরে শাবনূর কতোদিন নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। ঢালিউডের অনেকের মনেই এখন প্রশ্ন, কেনো তার এই লুকোচুরি!
বাংলাদেশ সময় ২৩৪০, জুলাই ১৬, ২০১১