আবহমান গ্রামবাংলার লোক ঐতিহ্য ও মরমী গানের কিংবদন্তি শিল্পী আবদুল আলীমের ৮০তম জন্মবার্ষিকী ২৭ জুলাই। এই খ্যাতিমান শিল্পী ১৯৭৪ সালে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও রয়ে গেছে তার গাওয়া অসংখ্য মাটি ছোঁয়া গান।
আবদুল আলীমের জন্ম ভারতের মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই । মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই মেধাবী শিল্পীর দুটি গানের রেকর্ড প্রকাশ করে গ্রামোফোন কোম্পানি। দেশ বিভাগের সময় ঢাকায় চলে আসেন তরুণ আবদুল হালিম। ঢাকায় এসে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে যোগ দেন পূর্ব পাকিস্তান রেডিওতে।
সঙ্গীতশিক্ষার জন্য আবদুল আলীম সংস্পর্শ পান মুমতাজ আলী খান এবং মোহাম্মদ হোসাইন খসরুর মতো উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতবিদদের। স্বতন্ত্র গায়কী আর অসাধারণ কণ্ঠের জন্য তিনি প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেন পল্লীকবি জসীম উদ্দীন, কানাই লাল শীল, , আবদুল লতিফ, খান সমশের আলীসহ অসংখ্য দেশবরেণ্য ব্যক্তির। সংগীত জীবনে তার দুই শতাধিক রেকর্ড প্রকাশিত হয়। এ দেশের চলচ্চিত্রের প্রথম দিকের শতাধিক ছবিতে প্লে-ব্যাক করেছেন আবদুল আলীম ।
আবদুল আলীমের গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম হলো - হলুদিয়া পাখি, সর্বনাশা পদ্মা নদী প্রেমের মরা জলে ডুবে না, উজান গাঙ্গের নাইয়া, আমারে সাজাইয়া দিও, মনে বড় আশা ছিল, বাবু সেলাম বারে বার, সব সখিরে পার করিতে, মনপবনের নাও আমায় লইয়া যাও প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময় ০১৪০, জুলাই ২৭, ২০১১