বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে অনলাইন লাইভ তারকা আড্ডার। এতে আজ ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে অতিথি হয়ে আসেন এই সময়ের পপক্রেজ মিউজিক সুপার স্টার মিলা।
বিশ্বের জনপ্রিয় বিভিন্ন ওয়েবসাইট প্রায়শই জনপ্রিয় তারকাদের সঙ্গে ভক্ত-ভিজিটরদের অনলাইনে সরাসরি আলাপচারিতা ও আড্ডার আয়োজন করে থাকে। জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজ প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি লাইভ তারকার আয়োজন করে। ভিজিটরদের সঙ্গে আড্ডায় অংশ নিতে এ সময়ের হার্টথ্রব পপতারকা মিলা আজ ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে আসেন বাংলানিউজে । রাত ১০টায় শুরু হয় প্রাণবন্ত সেই জমাটি আড্ডা। রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত তিনি থাকেন বাংলানিউজ অনলাইন লাইভ তারকা আড্ডার হটসিটে। প্রিয়তারকা মিলাকে বাংলানিউজের ভিজিটররা সরাসরি প্রশ্ন করেন । চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে তিনি ফ্যানদের প্রশ্নের উত্তর দেন। আর হ্যাঁ, সেরা প্রশ্নকর্তা পাচ্ছেন আকর্ষণীয় পুরস্কার। ভক্তরা মিলার সঙ্গে অনলাইন লাইভ আড্ডায় অংশ নিয়েছেন banglanews24.com-এ লগইন করে।
হাজার দর্শকের মন মাতাইয়া মিলা ...
মিলার পুরো নাম তাসবিহা বিনতে শহীদ মিলা। ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে তার সখ্য। বেড়ে উঠেছেন সংস্কৃতিমনা পরিবারে। মা স্বপ্না ইসলাম একজন গুণী নজরুল সঙ্গীতশিল্পী। সেই সাথে ক্ল্যাসিকাল গানের শিক্ষকও। বাবা কর্নেল শহীদুল ইসলাম সঙ্গীত অনুরাগী মানুষ। মায়ের কাছেই গানের হাতেখড়ি। ক্লাস নাইন পর্যন্ত মিলাকে তার মা জোর করে ধরে গান শেখাতেন। তখন থেকেই বাবার অফিসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়া শুরু। পরিবারের কেউ অবশ্য ভাবেননি মিলা প্রফেশনালি গান করবে। মেয়ে বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে, বরং এমনই ছিল তার বাবার ইচ্ছে ।
গানে গানে ‘সুন্দরী কমলা’ আর ‘রহিম-রূপবান’ এর মতো লোকজ যাত্রাপালার চরিত্রগুলো তুলে আনলেও গায়িকা মিলা পুরোপুরোই শহরবাসী। ঢাকা শহরেই কেটেছে তাঁর বেশির ভাগ সময়। এসএসসি দেওয়ার পর থেকে গানের প্রতি মিলার আকর্ষণ তৈরি হয় । ঠিক করলেন, একটা অ্যালবাম বের করবেন। বাবাকে গিয়ে ধরলেন, অ্যালবাম তৈরির টাকা দেওয়ার জন্য। বাবা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এখন গানবাজনার প্রতি ঝুঁকলে পড়ালেখা গোল্লায় যাবে। কী আর করা? ভাঙ্গা মন নিয়ে মিলা নিলেন কঠিন সিদ্ধান্ত, নিজের উপার্জনের টাকা দিয়েই অ্যালবাম বের করবেন। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে তখন থেকেই বিভিন্ন স্টেজ শোতে পারফর্ম করা শুরু করলেন। তার প্রথম শো ছিল চট্টগ্রামের এক গ্রামে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে। সেখান থেকে পাওয়া প্রথম উপার্জন ১২শ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুললেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে আয় করা টাকা জমাতে থাকলেন এই অ্যাকাউন্টে ।
নিজের উপার্জিত সেই টাকা দিয়েই ২০০৬ সালে মিলা বের করেন প্রথম সলো অ্যালবাম ‘ফেলে আসা’। প্রথম অ্যালবামেই তিনি করেন বাজিমাত। এরপরের গল্প কেবল সাফল্যের---ফ্রম সাকসেস টু সাকসেস। একের পর এক অ্যালবাম প্রকাশ আর অডিও বাজারে হিট আইকন হয়ে ওঠা। চলচ্চিত্রের প্লেব্যাকে অভিষেক হলো । চাহিদা তৈরি হলো বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে। স্টেজ পারফর্মেন্সেও নিজের স্বতন্ত্র স্টাইলে মিলা হয়ে উঠেন তারুণ্যের ক্রেজ। এখন স্টেজ শো নিয়েই মিলা বেশি ব্যস্ত। বাসায় থাকলে দিনের সিংহভাগ সময় কাটে নিজের স্টুডিওটাতেই। সুরের নেশায় নতুন নতুন মিউজিক ট্র্র্যাক তৈরি করছেন, ভাঙছেন-গড়ছেন। মিউজিক নিয়ে করে চলেছেন এক্সপেরিমেন্ট। মিলা চান, প্রতি বছর একটি ভালো গানের অ্যালবাম শ্রোতাদের উপহার দিতে। আগামী ঈদকে সামনে রেখে এ বছর গুছিয়ে এনেছেন নিজের নতুন সলো অ্যালবামটির কাজ।
মিলার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন একটাই গান শুধু গান। গানে নিত্য-নতুন বৈচিত্র্য যোগ করার মাঝে তিনি বিলিয়ে দিতে চান নিজেকে। গান দিয়ে মানুষের সব দুঃখ-কষ্ট-হতাশা ভুলিয়ে দিতে চান। `হাজার দর্শকের মন মাতাইয়া...` মিলা সবার মনে ছড়িয়ে দিতে চান আনন্দ, রাশি রাশি আনন্দ--আকাশে বাতাসে , ইথারে ইথারে।
বাংলাদেশ সময় ১২৩০, জুলাই ২৭, ২০১১