ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পপি

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১১

তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী নায়িকা পপি এখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আগামী ৭ অক্টোবর দর্শকদের সামনে আসছে পপি অভিনীত লেডি-অ্যাকশনধর্মী ছবি ‘গার্মেন্টস কন্যা’।

এ ছবির সাফল্যের উপর নির্ভর করছে বাণিজ্যিক ছবিতে পপির ক্যারিয়ার। তাই ছবিটিকে অনেকেই বলছেন পপির শেষ ভরসা।

জি সরকার পরিচালিত ‘গার্মেন্টস কন্যা’ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পপি। তার বিপরীতে এ ছবিতে রয়েছেন নতুন প্রজন্মের সুদর্শন নায়ক ইমন। পপি-ইমন জুটির এটিই প্রথম ছবি। ছবিটিকে পপির ক্যারিয়াররের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।

‘গার্মেন্টস কন্যা’ ছবিটি ছাড়া পপি অভিনীত বাণিজ্যিক ছবি রয়েছে ‘শর্টকাটে বড় লোক’ আর ‘আদরের ভাই’। ‘শর্টকাটে বড় লোক’ ছবির নির্মাণ কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয় নি। কবে নাগাদ শেষ হবে আর কবে মুক্তি পাবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। ‘আদরের ভাই’ ছবিটির দীর্ঘদিন যাবৎ সেন্সরবোর্ডে আটকে রয়েছে। কাহিনীতে অসমাঞ্জস্য থাকায় সেন্সরবোর্ড এ ছবির সনদপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রায় এক বছর আগে। সেন্সর বোর্ড থেকে এটি মুক্ত করার ব্যাপারে নির্মাতা-প্রযোজকদের কোনো উদ্যোগ নেই।

দু’টি ভিন্ন ধারার ছবি অবশ্য পপির হাতে রয়েছে । এগুলো হচ্ছে ‘পৌষ মাসের পিরিতি’ ও ‘জীবন যন্ত্রণা’। এই ছবি দুটো দিয়ে মুলধারার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের দর্শকদের কাছে পৌছার সম্ভাবনা নেই। তবে পরিচালক কমল সরকার তার নতুন ছবি ‘সেই তুমি অনামিকা’-তে নায়িকা হিসেবে পপিকে নিয়েছেন এবং শিগগিরই ছবিটির কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে। Popy

ঢালিউডের একসময়ের শীর্ষনায়িকা পপির কাছে ‘গার্মেন্টস কন্যা’ ছবিটি নিঃসন্দেহে একধরনের চ্যালেঞ্জ। গার্মেন্টস কর্মীদের জীবন সংগ্রাম নিয়ে নির্মিত এ ছবিতে পপি মনপ্রাণ উজাড় করেই অভিনয় করেছেন। এ ছবিটি যদি সুপারহিট হয় তাহলে পাল্টে যাবে তার ক্যারিয়ারের মোড়, এটি পপি নিজেও বেশ ভালোভাবেই জানেন।

একসময় পপি মানেই ছিল সুপার হিট ছবি। পপির ছবি মানেই সিনেমা হলে দর্শকদের উপচে পড়া ভীড়। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে নানা ঝামেলা আর খেয়ালীপনার কারণে পপি তার সেই ইমেজ ধরে রাখতে পারেন নি। দিন দিন তার হাতে ছবির সংখ্যা কমতে কমতে তলানির পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। নতুন কোনো ছবি না পেলেও পপির অবশ্য এ নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যাথা নেয়। এ বিষয়ে তার মন্তব্য, আমি কখনও সংখ্যায় বিশ্বাসী ছিলাম না। সব সময় চেয়েছি ভাল কিছু করতে। সেটা করতে পেরেছি বলেই তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি।

নিজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে পপি বলেন, হয়তো আমার কিছু ভুল ছিল, আমাকে নিয়ে সব সময়ই নানারকম পলিটিক্স হয়েছে। আমি হয়তো সেটা বুঝতে পারিনি। কিংবা যখন বুঝতে পেরেছি তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। তারপরও আমি হতাশ নই। অতীতে দর্শকদের ভালবাসা পেয়েছি। ভবিষ্যতেও পাবো এ বিশ্বাস আমার আছে।

‘গার্মন্টস কন্যা’ ছবিটিকে পপি নিজেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করছেন। পপির বিশ্বাস, ছবিটির সাফল্য তার ধ্বসে পড়া ক্যারিয়ারকে আবার চাঙ্গা করে তুলবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস কন্যা’ ছবিটি আমার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেবে বলে আমি প্রচন্ডভাবে আত্মবিশ্বাসী। ছবিটিতে এমন কিছু আছে, যা দর্শকদের ভালো লাগবে। সবার দোয়া ও দর্শকদের ভালোবাসায় ছবিটি ব্যবসা সফল হবে বলে আশা করছি।

বাংলাদেশ সময় ১৫০৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।