ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ক্যামেরার দৌরাত্ম্য

শারমীনা ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১১
ক্যামেরার দৌরাত্ম্য

কয়েক দিন আগে বসুন্ধরা সিটির সামনে জ্যামে গাড়িতে বসে আছি। দেখলাম একটি লোক হেঁটে যাওয়ার সময় তার মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মেয়ের ছবি তুলে নিল।

মেয়েটি বুঝতেই পারলো না।

এভাবেই মোবাইল ফোনের ক্যামেরার দৌরাত্ম্যে, আমাদের অসচেতনতার জন্য জানা বা অজানা উপায়ে প্রিয় মানুষগুলোর ছবি বা ভিডিও চলে যাচ্ছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। আর তার দর্শক হচ্ছে অসংখ্য বিকৃত মস্তিস্কের মানুষ।

দেশে কোটি কোটি মোবাইল ফোন গ্রাহকের এক কোটিও যদি ক্যামেরা মোবাইল ব্যবহার করে থাকে তাহলে প্রতি মুহুর্তে আপনাকে, আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে এক কোটি সুযোগ সন্ধানী হিডেন (লুকানো) ক্যামেরা লেন্স। সুযোগটা যে কখন আসবে... মূল সমস্যা হলো, আজকে আমরা মোবাইলে যে ছবি রাখছি তা বেহাত হতে পারে বিভিন্ন কারণে।

যেমন, আমাদের মোবাইল ফোন ছিনতাই বা হারিয়ে গেলে, ব্লু-টুথ টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে অথবা নষ্ট হলে তা দোকানে দিয়ে আসতে হতে পারে ইত্যাদি।

এছাড়াও আমাদের কথিত প্রিয় মানুষগুলো (মুখোশ পরা) দুর্বল মুহূর্তের ছবি তুলে সেগুলো দিয়ে প্রতারণা করে। যার পরিণামে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

যদিও মোবাইল ফোন আমাদের পারস্পারকি যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখছে। তবে খুব সাধারণ একটি ভুল বিশাল বিপদ ডেকে আনতে পারে।

তাই বলে কি স্বাভাবিক চলাচল বা স্বাভাবিক আনন্দ থেকে নিজেকে বিরত রাখব? না, অবশ্যই না। আমরা সবাই যদি একটু সচেতন হই। আমাদের দেশের সামাজিক রীতিনীতি বা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলি তাহলে এই ভয়াবহ সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেতে পারি।

আসুন নিজে সাবধান হই, অপরকেও সাবধান করি। এসব বিকৃত রুচির মানুষদের এড়িয়ে চলি এবং তাদরে বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলি।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।