“প্রথম দেখাতেই ভালবাসা”এই ব্যাপারটি বিশ্বাস করেন? ইংরেজিতে যাকে বলা হয়ে থাকে, Love at First Sight.
হুম, অনেকেই আমরা এর সাথে একমত হতে পারি, আবার অনেকেই এই ব্যাপারটি একদমই হেসে উড়িয়ে দিতে পারি। এই দু’দলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা যেতে পারে যে, সম্প্রতি নিউরো সায়েন্টিস্টরা দেখতে চেয়েছেন যে, চোখে চোখে কি এমন প্রেম-জাগানিয়া কথার আদান-প্রদান ঘটে যা কিনা তাবৎ দুনিয়ার প্রেমিক-প্রেমিকাদের ঘুম হারাম করার জন্যে যথেষ্ট।
আপনি যদি, হেসে উড়িয়ে দেয়া দলের হয়ে থাকেন আর এইসব গবেষকদের কথা শুনতে অভ্যস্ত না হোন, তবে আপনি আপনার পছন্দের গানের প্লে-লিস্টটিই দেখুন না, দেখবেন এই চোখ আর তার ভাষার মাধ্যমে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ বা “প্রথম দেখাতেই ভালবাসা” নিয়ে কতগুলো গান আপনি প্রতিদিন শুনে চলেছেন।
পৃথিবীর এমন কোনো ভাষা নেই যার সাহিত্যে এই ব্যাপারটি ফুটে ওঠেনি বা উঠছে না, প্রতিদিন কতশত গান-কবিতা লেখা হচ্ছে এ নিয়ে। আমাদের জীবনানন্দ, কায়কোবাদ, নজরুল, রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যজুড়ে এর সরব উপস্থিতি তো আমরা দেখেছিই।
এডিনবরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের নিউরোলোজি বিভাগের, গবেষকদল প্রায় কুড়ি যুগল স্বেচ্ছাসেবী প্রেমিক-প্রেমিকার একটি দল নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করেন। যাদের দু’দলে ভাগ করে, একই ধরনের কিছু প্রেমালাপ করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পার্থক্য ছিল, প্রথম দলের যুগলরা পরস্পরের মুখোমুখি ছিল, আর দ্বিতীয় দলের যুগলদের মাঝখানটায় ছিল পর্দা, অর্থাৎ তারা একে অন্যকে দেখতে পেত না। এসময় তাদের প্রত্যেকের মস্তিষ্কের কোষের ম্যাগনেটিক রেজোনেন্সের মাধ্যমে কিছু ছবি তোলা হয়, আর এরপর ফলাফল বিশ্লেষণ করে যা পাওয়া যায় তাতে গবেষকরা মানতে বাধ্য হন যে, চোখের এই নীরব ভাষার কাছে, মুখের সরব উপস্থিতি এককথায় কিছুই না।
তারা দেখতে পান, প্রথম দলের যুগলদের পরস্পরের কথা বলা আর গ্রহণ করার ক্ষমতা দ্বিতীয় দলের যুগলদের তুলনায় প্রায় ৭৭% বেশি। তারা বলেন, “মনে হচ্ছিলো দ্বিতীয় দলের যুগলরা, ভদ্রতা রক্ষার্থে কথা বলছিল। ভালবাসার আবেগ-অনুভুতির কিয়দংশও তাদের স্পর্শ করেনি। ”
না বলা অনেক কথা, বলা হোক চোখের ভাষায়....
বন্ধুরা আরও নানা বিষয়ে জানতে ও আপনার মতামত জানাতে https://www.facebook.com/bnlifestyle