অনেক প্রতিক্ষার ঈদ তো চলেই এলো। কেনাকাটা, ঘর সাজানো সবই এরমধ্যে গুছিয়েছি আমরা।
সারা দিন রান্নাঘরে কাটিয়ে দেবেন না যেন, ঈদ সবার জন্য। সবাইকে আনন্দ দেবেন, রান্না করবেন, সব ঠিক আছে। তবে নিজে কাজের ভিড়ে নতুন শাড়ি পরার বা একটু বাইরে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না, এমন অজুহাত দেবেন না। প্লিজ!
আসুন জেনে নিই কেমন করে এতো কাজের ভিড়েও নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারি। যেন সবাই আপনার দিকেই আড়চোখে চেয়ে দেখে কেমন করে এতো সব সামলে চলেন তারপরেও এতো ফ্রেশ?
ঈদের দিনের সাজ তিন সময়ে ভাগ করে নিন । সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন সকাল, দুপুর এবং রাতের সাজ এবং পোশাক কী হবে।
সকালে বাড়িতে কাজের চাপ বেশি থাকে এসময় সালোয়ার কামিজ অথবা সুতি শাড়ি পরুন। হালকা ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার, লিপিস্টিক আর কাজল দিয়ে সাজ শেষ করুন। চাইলে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট একটি টিপও পরতে পারেন।
গরমের সময় ঈদ হচ্ছে দুপুরটা তাই বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করুন। তারপরেও সাজতো অরেকটু ঠিক করে নিতে হবে। দুপুরে হালকা রঙ-এর পোশাক বেছে নিন। আর সাজের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পউডার মেখে হালকা করে ব্লাশন বুলিয়ে নিন দুই গালে। আর ঠোট একে দিতে পারেন লিপগ্লস। চোখের সাজে ভিন্নতা আনতে স্যাডো আর আইলাইনার দিন। পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কানে আর গলায় ছোট গয়না পরুন।
রাতটি শুধুই আপনার..ইচ্ছেমতো সাজুন। বাইরে গেলে শাড়ি পরুন। বাঙ্গালি নারীর শাড়িতেই পূর্ণ সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। মুখ, গলায় ফাউন্ডেশন কমপ্যাক্ট পাউডার দিন। সাজ বেশি সময় স্থায়ী করতে স্পঞ্জ পানিতে ভিজেয়ে মুখে চেপে মেকাপ বসিয়ে নিন।
চোখে মাশকারা, আইলাইনার এবং গাঢ় রঙ-এর স্যাডো ব্যবহার করুন। ঠোটে লিপিস্টিক দিন। হাত ভর্তি চুড়ি পরুন। গলায় ও কানে গয়না পরুন। কুমকুম অথবা গ্লিটার দিয়ে বড় করে টিপ আকুন কপালে। এবার ব্লাশন দিয়ে সাজ পূর্ণ করুন।
পছন্দের পারফিউম মেখে, পাটি ব্যাগ নিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে বেরিয়ে পরুন।
আপনার ঈদ হোক আনন্দময়।