ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

প্রজন্ম কানাডার আয়োজনে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৩
প্রজন্ম কানাডার আয়োজনে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

টরন্টোতে প্রজন্ম কানাডার আয়োজনে “Bangladesh in Photography: 1952-2013” শীর্ষক এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ১৩ অক্টোবর, রবিবার  ড্যানফোর্থস্থ বাংলাদেশ সেন্টারে অনুষ্ঠিত  হয়েছে। দিনব্যাপী চলা এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি প্রখ্যাত ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেনেট ডেভিস বিশেষ অতিথি হিসাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাহান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ঊনসত্তুরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তুরের নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, পঁচাত্তরের ট্রাজেডি, নব্বুইয়ের অভ্যুত্থান ও সর্বশেষ শাহবাগ আন্দোলনসহ জাতীয় ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে দেওয়া ঘটনাসমূহের আলোকচিত্র, পোস্টার, পোস্টকার্ড ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়েছিল এই প্রদর্শনী। পরিবার-পরিজন নিয়ে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশি এই প্রদর্শনী উপভোগ করেন।

প্রদর্শনীর পাশাপাশি প্রজেক্টরের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি ও ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়। এছাড়া বাংলাদেশি কম্যুনিটির বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, আবৃত্তি ও সঙ্গীত শিল্পীরা প্রদর্শনীর মঞ্চে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক পরিবেশনায় অংশ নেন।  

প্রজন্ম কানাডার আয়োজনকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে লুৎফর রহমান রিটন বলেন, দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও এই সংগঠনের সদস্যরা দেশকে ভুলে না গিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করছে, দেশের ইতিহাসকে সবার সামনে তুলে ধরছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে, এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। কানাডার অন্যান্য বড় শহরে এরকম প্রদর্শনী আয়োজনের পরামর্শও দেন তিনি।     canada

কাউন্সিলর জেনেট ডেভিস তার বক্তব্যে বলেন, এই প্রদর্শনীতে এসে তিনি বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এজন্য তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ অনেকেই এ আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা সকলেই তরুণদেরকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে এরকম প্রয়াস অব্যাহত রাখার আহবান জানান। তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে এবং তারাই দেশকে সঠিক পথে নিয়ে যাবে বলেও সকলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রদর্শনীর পরিকল্পনা ও গবেষণায় ছিলেন ফারহানা আযিম শিউলি, আরমান রশীদ, রাহাত কবির, মির্জা ইমতিয়াজ, শরীফ হাসান শিশির, মোঃ জহিরুল ইসলাম জিন্নাহ, হাসান মাহমুদ টিপু, আশরাফ হাসান, সৈয়দ ফারহান শিহাব, তাহমিনা বেগম, সুমু হক ও রকিবুল ইসলাম।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।