আমার এই ছোট্ট জীবনে সুযোগ হয়েছে বিশ্বের বেশকটি দেশ ঘুরে দেখার। কিন্তু আমাদের দেশের বান্দরবান যেয়ে আমার বার বার মনে হচ্ছিল...দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু....একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু।
চ্যানেলের জন্য একটি প্রোগ্রাম তৈরি করতে বান্দরবান গিয়েছিলাম, কিন্তু কিছু বিপত্তির পর সেই ট্যুর আমাদের এ্যাডভেঞ্চার ট্যুরে পরিণত হলো, কীভাবে?
রুমা বাজার থেকে বগা লেক:
এই ভ্রমণের গল্পটি বান্দরবানের রুমা বাজার থেকেই শুরু করা যাক। সাঙ্গু নদী পেরিয়ে ৯ সদস্যের আমাদের দলটি যখন রুমা বাজারে পৌঁছালো তখন দুপুর প্রায় ২টা । শুরুতেই বিপত্তি। অসুস্থ হয়ে পড়লো ক্যামেরাম্যান রনি। অনেক চেষ্টা করেও তার মানসিক শক্তি ফিরিয়ে আনা গেলো না। সে আর পারবে না, এমনটাই বলে দিলো সরাসরি। পাহাড়ের অদেখা দৃশ্য, সৌন্দর্য মানুষের সামনে তুলে ধরার স্বপ্নকে কবর দিতে হলো সেখানেই। সিদ্ধান্ত হলো, কামেরা এবং সকল সরঞ্জামসহ তাকে রেখেই আমরা এগিয়ে যাবো সামনে। মন তখন খুব খারাপ, যে রিপোর্ট করার কথা বলে অফিস থেকে বেড়িয়েছি তাতো অঙ্কুরেই বিনষ্ট হলো।
অনেক খুঁজে একজন গাইড পাওয়া গেলো যে আমাদেরকে কেওক্রাডং পর্যন্ত নিয়ে যাবে। তার নাম লাল রুয়াত খুম বোম। রুমা বাজার থেকে পাহাড়ে ওঠার টুকিটাকি জিনিসপত্র কিনে এবং সেখানকার সেনা ক্যাম্পে রিপোর্ট করার পর রওনা দিতে দিতে বেজে গেল সাড়ে তিনটা। প্রথমে যাবো বগা লেক, তারপর সেখানে রাত থেকে পরদিন কেওক্রাডং।
সাধারণত যে পথ দিয়ে পর্যটকরা যায় সে পথ আমাদের লক্ষ নয়। আমরা বেছে নিলাম বিকল্প পথ। সে পথে যতটা কষ্ট, সৌন্দর্যের হাতছানিও ততটাই। যাই হোক, আমরা রুমা বাজার থেকে ওপরের দিকে ওঠা শুরু করলাম। প্রথম পাহাড় দিয়ে যতটা ওপরের দিকে উঠছি, শরীরের শক্তি ততটাই কমে আসছে। এতটা পরিশ্রম করা হয় না সাধারণত, তাই পা আর চলতে চায় না। কিন্তু গন্তব্য বহুদূর তাই এগিয়ে যাওয়াই একমাত্র উপায়। এভাবে উঠতে উঠতে একটা সময় যখন পাহাড়ের ওপরের অংশে পৌঁছালাম তখন শুধু আমাদের কয়েকজনের শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ ছাড়া যেন আর কোনো শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। যদিও পরের কয়েকদিনে বুঝতে পেরেছি অতি ক্ষুদ্র একটি পাহাড় ছিল সেটি। তবুও শান্তি যে ওঠা শেষ করতে পেরেছি।
এবার নামার পালা। ঠিক যতটা উঠেছিলাম ততটাই নিচে নেমে যেতে হবে। নামাটা যদিও কম কষ্টের না তবুও ওঠার চেয়ে কম। দীর্ঘক্ষণ ধরে নামার পর একটা সময় কলকল করে বয়ে চলা জলের ধারার শব্দ কানে ভেসে আসলো। তারও কয়েক মিনিট পর চোখের সামনে ধরা দিলো অন্য এক প্রকৃতি। চারিদিকে উচু উচু পাহাড়, তারই মাঝখানে যে অল্প একটু সমতল ভূমির মতো সে অংশ দিয়েই একে-বেঁকে নেমে আসছে পাহাড়ি জলধারা। স্থানীয়ভাবে ঝিরি বলা হয় এটাকে। সে জলধারা যেমন স্বচ্ছ, তেমনি পাহাড়ের রঙ নিয়ে কিছুটা সবুজাভ। সে স্বচ্ছ জলের ভেতর দিয়ে তাকালে নানা রং এর পাথর দেখা যায় স্পষ্ট। এই জলধারাই পুরো পথে আমাদের তৃষ্ণা মিটিয়েছে।
এমন অবাক সৌন্দর্য দেখে আমরা ভুলে যাই পাহাড়ে ওঠার সব ক্লান্তি। সেই ঝিরি পথ দিয়ে আমরা এগিয়ে যাই সামনে। একই ঝিরি বার বার পার হই। ঠান্ডা পানিতে জুড়িয়ে যায় পা, সাথে মনও। এ পথ দিয়ে পাহাড়ে বসবাসকারী আদিবাসী আর খুবই রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষ ছাড়া তেমন কেউ চলে না । এগিয়ে যেতে যেতে চোখে পড়ে কিছু আদিবাসী। কিন্তু তাদের পায়ের গতি এমন বন্ধুর পথেও এতটাই দ্রুত যে, কিছুক্ষণের মধ্যেই আড়াল হয়ে যায় তারা। এক বৃদ্ধের সঙ্গে দেখা হলো। নাম জিজ্ঞেস করে যে উত্তর পাওয়া গেল সেটা বুঝতে পারিনি । তবে এটুকু বুঝেছি যে, এতটা দূরের দুর্গম পথে রওনা হয়েছে সে যে, তার বাড়ি পৌঁছাতে দুদিন লেগে যাবে। সূর্য দ্রুত পাহাড়ের আড়ালে লুকিয়ে যাবার জন্য তাড়াহুড়ো শুরু করলো। আমরাও হাঁটার গতি বাড়ালাম। কিন্তু চোখের সামনে প্রকৃতি এতটাই অকৃপণ যে তাকালেই মুগ্ধতায় আটকে যায় চোখ। আর সে মুগ্ধতার স্মৃতি ক্যামেরায় বন্দি করছিলাম যে যার মতো। যত ওপরের দিকে যাচ্ছি তত বড় বড় পাথর দেখা যাচ্ছে ঝিরির মাঝখানে। আর তাতে পানির ধাক্কায় যে শব্দের উৎপত্তি সে সুরের দ্যেতনায় ভরা চারপাশ। পায়ের গতি এবার সত্যি সত্যি বাড়াতে হলো।
যখন সন্ধ্যা নামলো পাহাড়ের বুকে তখন আমরা বগামুখ পাড়ায়। পথের তখনো অনেক বাকি। সে পথ আরো অনেক বেশি দুর্গম। মিনিট পাঁচেক বিরতিতে শুকিয়ে যাওয়া বুকটাতে কিছুটা সজীবতার পরশ দিয়ে নেই, পানি খেয়ে। তারপর আবার পথ চলা শুরু।
এবার চারটি টর্চলাইট জ্বলে উঠলো পথ খুঁজে পেতে। সবার পিঠে ব্যাগ, পায়ে এমন সব স্যান্ডেল বা জুতো যা সহজে পিছলে না যায়। পাহাড়ি রাতের অন্ধকারে টর্চের আলোয় পথ খুঁজে এগিয়ে চলি আমরা। চারিদিকে শুধু অজানা, অচেনা আর অদেখা পোকামাকড়ের শব্দ ছাড়া চরাচরে জমাট নিস্তব্ধতা। পায়ের নিচে পিচ্ছিল পাথর, পথে পথে কিলবিল করছে জোঁক। কিন্তু সেসব দেখার সময় কোথায়? কোনমতো পিছলে পড়া এড়িয়ে দ্রুত চলে যেতে হবে গন্তব্যে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে হাঁটার পরিণতি এবার দেখা দিলো। পাহাড়ে হাটার নিয়ম হলো, একটা দলের সবাই একসাথে চলতে হবে। কিন্তু পা তো আর কারো চলতে চায় না। তাই একজনের সাথে অন্যজনের দূরত্ব কেবলই বাড়তে থাকে। সেই অন্ধকারেই ওপরের দিকে টর্চের আলো ফেলে একটা পাহাড়ের চেহারা দেখে চমকে উঠি সবাই। পাহাড়টি যেন সরাসরি উঠে গেছে, কোন ঢাল নেই। কেউ কেউ ভাবতে চাই কিভাবে হলো এমনটা, কিন্তু গবেষনার সময় কোথায়? দলের কেউ একজন জানে যে, সামনে এমন একটা জায়গা আছে যেখানে অনেক উচু থেকে জলের ধারা সোজা নিচে পড়ছে সেটার ওপরে উঠে গেলে আর ঝিরি পেরোতে হবে না। কিন্তু সেই জায়গা তো আর আসে না। আমাদের গাইড লাল রুয়াতও তো তেমন কিছু বলতে পারছে না। বার বার ঝিরি পার হচ্ছি, পিচ্ছিল পাথরে পা ফেলে বার বার পিছলে পড়ছি, হাত-পা কেটে ছিলে যাচ্ছে, হয়তো বা জোঁকও চুষে চুষে খাচ্ছে রক্ত। কিন্তু পথ চলা আর শেষ হয় না। একটা জায়গা পাওয়া গেল যেখানে পাহাড়ের গায়ে খাঁজকাটা একটা সরু জায়গা দিয়ে প্রায় শুয়ে থেকে পার হতে হলো খুব কৌশলে। দলের একজন গুনছিল কতবার পার হচ্ছি একই ঝিরি। কারণ, রুবেল কোথায় যেন পড়েছে যে, ঝিরিটি প্রায় ৫৪ বার পার হলে শেষ হয়। একটা সময় সামনে পড়লো বহু আরাধ্য সেই জায়গা যেটা পেরোলে অল্প একটা পথ বাঁকি থাকে বগা লেক যেতে। কেমন যেন মুক্তির স্বাদ পেতে শুরু করলাম। অনেক উচু থেকে অবিরাম ঝড়ে পড়ছে পানি। নিচে বড় একটা পাথরের উপর বসে পড়লাম সবাই। সবার টর্চ জ্বালিয়ে আলোকিত করলাম জায়গাটা। একটু জিরিয়ে নেয়া, শরীরে একটু শক্তি সঞ্চয়ের চেষ্টা। কারণ, যে উচু জায়গা থেকে পানি পড়ছে খাড়া উঠে যেতে হবে সেখানে, একটু পা পিছলে গেলে বা হাত ফসকালে ঘটে যেতে পারে যে কোনো অঘটন। কিন্তু বিধিবাম! টর্চের আলো পেয়ে পাহাড়ের সবগুলো পোকা যেন হাজির হলো সেখানে।
এবার আবারও দুর্ধষ যাত্রা। শেওলা পিচ্ছিল সেই পাথুরে পথ বেয়ে আমরা ওপরে উঠতে থাকি। ধরার মতো শক্ত কিছু নাগালের মধ্যে নেই তাই প্রায় শুয়ে শুয়ে উঠতে থাকি সবাই। অবাক ব্যাপার হলো একটা সময় দেখলাম, আমরা সবাই আসলে ওপরে উঠে গেছি। অন্য সময় হলে হয়তো এতটা ঝুঁকি কেউ নিতাম না আমরা কেউই। নিরুপায় হলে মনে হয় মানুষ অনেক কিছুই পারে। এবার প্রাণ-ভরে শ্বাস নেওয়ার পালা। কারণ, সবারই ধারণা কাছাকাছি পৌঁছে গেছি আমরা।
একটা উঁচু পাহাড় পেরোলেই পেয়ে যাবো বগা লেক। এই আশাতে দ্রুত পা চালাই । কিন্তু অদ্ভুত একটা রহস্যের জালে জড়িয়ে পড়েছি আমরা। সেই ঝিরি পথ আর শেষ হয় না। রাত তখন নয়টা পেরিয়ে গেছে। পাহাড়ি বৃষ্টি পথকে আরও দুর্গম করে দিয়ে গেছে। লাল রুয়াতকে বার বার জিজ্ঞেস করেও জানা গেল না কতক্ষণ ধরে এভাবে চলতে হবে? একটু একটু করে হতাশা আর আশঙ্কা বাড়তে থাকলো দলের সদস্যদের মধ্যে। পা যেন চলতে চায় না। হাটার গতি অনুযায়ী দলের কেউ পিছিয়ে পড়লো, কেউ গেল এগিয়ে। মাঝখানে কবরের অন্ধকার। সেই রাতে জোরে জোরে শব্দ করে প্রতিধ্বনি করি আমরা কিন্তু অন্যপক্ষ থেকে কোন সাড়া মেলে না। আবারো তাদের জন্য ১০ মিনিট, ১৫ মিনিট বা ২০ মিনিটের অপেক্ষা। এভাবেই চলছিলাম। আর নিশ্চিত হচ্ছিলাম যে লাল রুয়াত পথ ভুল করেছে। আমাদের মধ্যে যে ঝিরি পার হওয়ার সংখ্যা গুনছিল সে তা বাদ দিয়েছে অনেক আগেই কারণ ৫৪ বার নয় ঝিরি পারি দেয়ার সংখ্যা তার হিসেবে ১০০ পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই।
একটা ভৌতিক সুরঙ্গের মতো জায়গায় এসে সবচেয়ে ভীতিকর কথাটি এবার বললো লাল রুয়াত। ওপরের দিকে পাহাড়ের গায়ে একটি পথ দেখিয়ে বললো,আমরা একটু ভুল পথে এসেছি ওপরের ঐ পথটাই আসল। উপায়? সেখানে যাওয়ার পথ খুঁজে পাওয়া কঠিন তাই এই জোকে ভরা জঙ্গল হাঁচড়েই ওপরে উঠে যেতে হবে। জঙ্গলের নিচে কোন গর্ত আছে কি না, সাপ থাকার আশঙ্কা তো আছেই..উফ, উপায় নেই দেরি করা যাবে না। ঝাপিয়ে পড়লাম প্রায় অন্ধকারে। যা ধরি তা-ই ভেঙ্গে যায়, নিচে পড়ে যাই আবার উঠি। একটু পরে আমরা সবাই ঐ রাস্তার ওপর। এবার নিশ্চিত হওয়া গেল যে ঝিরি পথ শেষ। এবার শুধুই ওপরে ওঠার পালা। আমরা উঠছি, অনেক ওপরে। প্রথম যে পাহাড়ে ওঠার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়েছিল তার চেয়ে আরও বেশি ভীতিকর। খাড়া, বৃষ্টিতে ভিজে কর্দমাক্ত আর পিচ্ছিল। মাটি ছাড়া ভরসা করে ধরার মতো আর কিছু নেই। দুর্গম-প্রতিকুল পথে একটানা হাঁটায় পায়ের শক্তি চলে গেছে অনেক আগেই। এবার মনের শক্তি দিয়ে যতদুর যাওয়া যায়।
লাল রুয়াত পাহাড়ি ছেলে। সে উঠে যায় সবার আগে। আমরা পেছনে পড়ে থাকি, আমাদের পা কাঁপে, হাত কাঁপে, কাঁপে পুরো শরীর। পা একটু পিছলে গেলে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমাদের কাছে দড়ি ছিল প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যর। কিন্তু সেটা যে কোন গাছের সাথে বেঁধে ধরে ধরে ওপরে উঠে যাবো তারও কোন উপায় নেই কারণ সে পথে তেমন গাছ নেই। আঙ্গুল বসিয়ে দেই কাঁদা মাটিতে, নিচের দিকে তাকাই না ভয়ে। এভাবে কতক্ষণ সময় কেটেছে সে সময় রাখা হয়নি। এক সময় যে যার মতো করে পেরেছে উঠে গেছে পাহাড় চূড়ায়। আরো এক ঘন্টা পর আমরা যখন ’বগালেক পাড়া’য় লারাম এর বাড়িতে পৌঁছালাম তখন রাত সোয়া এগারোটা-যেখানে আমাদের খুব বেশি হলে রাত আট টা কিংবা সাড়ে আট টা বাজার কথা ছিল। এবার সবাই যে যার মতো লেগে গেল জোঁক খুঁজতে। যারা স্যান্ডেল পরেছিল তাদের পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে আর যাদের পায়ে জুতা ছিল তাদের হাঁটু পর্যন্ত উঠে গিয়ে চুম্বকের মতো কামড়ে ধরে ছিল পাহাড়ি জোঁকগুলো। সবার পা-ই তখন জোঁকের কামড়ে রক্তাক্ত।
রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম ‘লারাম’(বগালেক পাড়ার বাসিন্দা) এর ঘরের মেঝেতে। সকল ক্লান্তি জড়ো হওয়া ঘুম ভাঙ্গতে একটু দেরি-ই হলো। কিন্তু চোখ খুলে দেখি আশেপাশে কেউ নেই। আগের রাতের বিভীষিকাময় যাত্রা, জোঁকের আতঙ্ক আর যে কোন মুহুর্তে মৃত্যুর আশঙ্কাকে পেছনে ফেলে, দলের সবাই অনেক ভোরেই ঘুম ছেড়ে ক্যামেরা নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছে।
ঘর থেকে বেরিয়েই চেয়ে দেখি-বগা লেক। উঁচু উঁচু পাহাড়ের মাঝে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া এই লেক দিনকে দিন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে। বেলা বাড়ছিল আর বগা লেকের চারদিকে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়গুলোর মাথায় আটকে যাচ্ছিল উড়তে থাকা মেঘগুলো। সে দৃশ্য দেখে যে অনুভতি হয় তা এই কী-বোর্ডের অক্ষরে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। পাহাড়ের সাথে মেঘের এই সংঘর্ষেই সারাদিনের মধ্যে অনেকবারই বৃষ্টি নামে। বগা লেকে থাকতে থাকতে আমরাও এমন বৃষ্টি দেখলাম। এর মধ্যে জুম চালের ভাতের সাথে কুমড়োর তরকারি, ডিম আর ডাল দিয়ে সকালের খাবার প্রস্তুত। সে খাবার খেতে খেতে পরবর্তী যাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে...
বান্দরবানের পুরো ভ্রমণ পড়তে...
রোমাঞ্চকর বান্দরবান(২য় পর্ব):
http://www.banglanews24.com/LifeStyle/detailsnews.php?nssl=2698
রোমাঞ্চকর বান্দরবান(শেষ পর্ব)
http://www.banglanews24.com/LifeStyle/detailsnews.php?nssl=2721