ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ওদের জন্য...

শারমীনা ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১১
ওদের জন্য...

আমরা শীতের ফ্যাশন নিয়ে নিউজ করি। বিউটি টিপস্ও বাদ যায় না।

আমরা নিজেদের শীত থেকে রক্ষা করার জন্য নতুন ফ্যাশনেবল পোশাক কিনি। ঠিক আছে, কিন্তু রাস্তায় কনকনে শীতের রাতে পাতলা এক টুকরো কাপড় শরীরে জড়িয়ে যে শিশুটি গুটিশুটি মেরে বসে আছে, তার দিকে ফিরে দেখার সময় কি আমাদের হয়?

সেদিন রাত ১২ টার দিকে এক বিয়ের প্রোগ্রাম থেকে ফিরছিলাম। পান্থপথের কাছে রাস্তার আইল্যান্ডে কয়েকজন আগুন জ্বেলে বসেছিল শীত থেকে বাঁচতে। সে দৃশ্য দেখে খারাপ লাগলেও বাস্তবতা হচ্ছে নিরাপত্তার কারণে সেখানে নোমতে পারিনি। কিছুটা সামনে এগুলেই দেখলাম কয়েকটি শিশু বসে আছে। গাড়ি থামিয়ে এবার নামলাম। কথা বললাম ওদের সঙ্গে।

৯/১০ বছরের রাজিব জানালো বাতাস এতো ঠান্ডা যে ঘুমাতে পারছে না। তার বাবা অসুস্থ্ কাজ করতে পারে না আর মা সখিনা মানুষের বাড়িতে কাজ করে। শীতে তাদের কেউ কেনো সাহায্য করে নি। তিন ভাইবোনের অভাবের সংসারে রাজিব তাই স্কুলে যেতে পারে না। সে দিনের বেলায় ফুল বিক্রি করে যে টাকা পায় তা দিয়ে মা কে সাহায্য করে। এমন রাজিবের সংখ্যা ঢাকা শহরে অগনিত। ওদের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছিল, তার মা সখিনাকে ডেকে অল্প কিছু টাকা হাতে দিয়ে বললাম, কাল একটি কম্বল কিনে নেবেন।

আমার এই সাহায্য হয়তো একটি ছোট পরিবারকে শীতের হাত থেকে কিছুটা রক্ষা করেছে, কিন্তু আমরা সবাই যদি এক হই? অল্প কিছু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারি, তবে শীতের কারণে মানুষের ভোগান্তি কমানো সম্ভব।

কিছুই না, আমাদের সবার ঘরেই আগের বছরের শীতের কাপড় থাকে, যেগুলো হয়তো এবার আর পরা হবে না। এগুলো দিয়েই বাড়ির কাছের দরিদ্র মানুষদের সাহায্য করতে পারি।

অনেক সময় আমরা দ্বিধাবোধ করি পুরোনো কাপড় দিতে, সেই পুরোনো কাপড়টাই তো ওরা পায় না। এটাই ওদের শীত থেকে রক্ষা করতে পারে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।