শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সব বাবা-মারই কাম্য। শুধু উজ্জ্বল একটি ভবিষ্যৎ নয়, শিশুটিকে এই সমাজে চলার উপযুক্ত করতে, একজন সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার আবশ্যিক শর্তই শিক্ষা।
আপনার আদুরে সেনামণিকে খেলতে খেলতেই শেখাতে পারেন অনেক কিছু। যেমন : আঙুল দিয়ে শুর“ হতে পারে সংখ্যা গণনার প্রথম পাঠ। খেলার মাধ্যমে আপনার শিশুকে শেখাতে পারেন অনেক ধরনের নিয়ম-শৃংখলা। এমনকি কোন খেলার নিয়মের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে অনেক শৃংখলা। এসব নিয়ম-শৃংখলা শেখানোও বাবা-মারই দায়িত্ব। আর জীবনের শৃংখলা মেনে চলার সূত্রপাত তো এখান থেকেই। এটাও জীবনের শিক্ষারই একটি বড় দিক।
শিশুর বাসায় শেখার বয়স সাধারণত ২ থেকে ৪ বছর। বাবা-মায়ের উচিত প্রাথমিক কিছু শিক্ষা শিশুকে দেয়া। যাতে প্রথমে স্কুলে ভর্তি এবং তাদের পাঠদানে শিশুটি আতংকিত হয়ে না যায়। এ বয়সের বাচ্চারা হতে থাকে একটু চঞ্চল, দুষ্ট প্রকৃতির এবং খেলাধুলাপ্রিয়। আপনিও হয়ে যান আপনার বা”চার খেলার সঙ্গী। সেই সঙ্গে মাথায় রাখুন তাকে কিভাবে শেখাবেন নতুন কিছু।
এ বি সি লেখা বক্সগুলো দিয়ে ঘর তৈরি করার সময় আপনার বা”চাকে চিনিয়ে দিন অক্ষরগুলো। পরে তাকেই বলুন আপনাকে অক্ষরগুলো চেনাতে। দেখুন বা”চা কতটুকু শিখতে পারল।
খেলতে খেলতে ছড়া বলুন। এতে ছড়া শুনে শুনে তারও মুখস্থ হয়ে যাবে। পরীক্ষা করার জন্য আপনি একটি লাইন বলুন আর তাকে পরের লাইনটি বলতে বলুন। দেখুন আপনার শিশু কতটা মনে রাখতে পেরেছে। শিশুকে পাজল মেলাতে দিন, এতে শিশুর বুদ্ধি এবং চিন্তার চর্চা শুরু হবে। এভাবেই বিভিন্ন খেলায় খেলায় শিশুটিকে চিনিয়ে দিন রং, সংখ্যা, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ আকৃতি। খেলাও হল, শেখাও হল। সে নিজে থেকে কিছু করতে পারলে শিশুকে অভিনন্দন জানান, ছোট কিছু উপহার দিন। আর এভাবেই হয়ে উঠবেন আপনার শিশুর প্রিয়বন্ধু। খেলার ছলে শিশুকে শেখান, কোন রকম চাপ দিয়ে নয়। এতে আপনার আর আপনার সন্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চিরকাল অটুট থাকবে ।
মনে রাখবেন, সন্তানকে সঠিকভাবে বড় করে তুলতে এবং তাদের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরির আদর্শ সময় শিশুকাল। অার শিশুর বিকাশে বাবা এবং মাকে সমানভাবে মনেযোগী হতে হবে।