আর মাত্র কয়েক দিন পরেই বাঙালির সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ। এই দিনে আমরা রুচি ও সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দের খাবারের আয়োজন করতে চাই।
লবঙ্গ লতিকা
উপকরণ: খামির-ময়দা বড় ২ কাপ, তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ সামান্য, লবঙ্গ ১৫-২০টি, তেল ভাজার জন্য, পানি প্রয়োজনমতো। ময়দা, তেল ও লবণ দিয়ে শক্ত খামির তৈরি করুন। পুর-২ কাপ নারকেল কুরানো, গুড়/চিনি ১ কাপ, একসেঙ্গ জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করুন।
সিরা-চিনি ৪০০ গ্রাম, পানি ১ কাপ জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন।
প্রণালী: এবার খামির নিয়ে পাতলা রুটি বেলে তার মাঝখানে পুর দিয়ে চারকোণা পরোটার মতো ভাঁজ করে মাঝখানে একটি করে লবঙ্গ দিয়ে পিঠার মুখ আটকে দিন। এবার ডুবো তেলে ভেজে চিনির সিরায় কিছুক্ষণ রেখে তুলে নিন। ঠাণ্ডা হলে সাজিযে পরিবেশন করুন দারুণ মজার লবঙ্গ লতিকা।
খেজুর গুড়ের পায়েস
যা লাগবে: দুধ ৪ লিটার, পোলাও-এর চাল ১০০ গ্রাম, খেজুর গুড় ৩০০ গ্রাম, কনডেন্সড মিল্ক কৌটা, এলাচ, দারুচিনি, কিশমিশ, পেস্তা বাদাম এবং লবণ পরিমাণমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন: প্রথমে চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন, লিকুইড দুধ জ্বালিয়ে একটু ঘন হলে চাল দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন।
এলাচ, দারুচিনি এবং লবণ দিন। চাল সিদ্ধ হয়ে এলে গুড় দিন।
এবার পায়েস নামানোর আগে এক কৌটা কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করুন।
তৈরি হয়ে গেল আপনার মজাদার পায়েস। কিশমিশ এবং বাদাম দিয়ে সুন্দর একটি পাত্রে সাজিয়ে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।
বাতাসা
উপকরণ: চিনি ২ কাপ, পানি এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, খাওয়ার সোডা এক চিমটি।
প্রণালী: চিনি ও পানি জ্বাল দিয়ে যখন ঘন হয়ে আসবে, তখন অনবরত নাড়তে হবে। যখন ফুসফুসে হয়ে আসবে, তখন হাইড্রোজ ও এক চিমটি খাওয়ার সোডা দিয়ে তাড়াতাড়ি তেল মাখানো পাটির ওপর বাতাসার মতো ছোট ছোট করে দিতে হবে। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন।
মুরালি
উপকরণ: ময়দা, গুড়, তেল। ময়দা ১ কাপ, চিনি ১০০ গ্রাম, পানি পরিমাণমতো।
প্রণালী: প্রথমে ময়দা একটু গরম তেল দিয়ে মেখে নিন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শুকনো করে মেখে বড় একটা গোল রুটি বানিয়ে ছুরি দিয়ে কেটে তেলে ভেজে তুলুন।
আধা কাপ পানিতে চিনি দিয়ে ঘন সিরা তৈরি করুন। এবার ভাজা মুরালি দিয়ে একবারে শুকনো করে নামাতে হবে। ঠাণ্ডা হলে বক্সে ভরে রাখুন।
সন্দেস
উপকরণ: ছানা ৫০০ গ্রাম, ক্ষীর ৩৫০ গ্রাম, গুঁড়া চিনি ১ কাপ, এলাচ গুঁড়া ১ চা চামচ, আমন্ড বাদাম বাটা ১ টে. চামচ, পেস্তা বাটা ১ টে. চামচ, ঘি ১ টে. চামচ।
প্রণালী: ছানা মথে মসৃণ করুন। ছানায় গুঁড়া চিনি, ঘি, পেস্তা ও বাদাম বাটা এবং এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে চুলায় দিয়ে নেড়ে করে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। ক্ষীর মিশিয়ে পছন্দমতো আকারে কেটে নিন। এবার সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
মুড়ির মোয়া
উপকরণ: মুড়ি ৫০০ গ্রাম, গুড় ২৫০ গ্রাম, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালী: গুড় হাড়িতে জ্বাল দিন। গুড়ে আঁশ হয়ে গেলে মুড়ির মধ্যে ঢালুন। তারপর বিভিন্ন আকার অনুযায়ী মোয়া তৈরি করে নিন। গুড় আঠালো থাকা অবস্থায় মোয়ার শেপ দিন।
রসগোল্লা
উপকরন: চিনি ১ কাপ, দুধ ১ লিটার, এলাচ, গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, ময়দা ১ চা চামচ, গোলাপজল ১ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালী: দুধের ছানা করে ছাকনিতে পানি ঝরিয়ে নিন।
৩ কাপ পানিতে চিনি দিয়ে চুলায় দিন। সিরা তৈরি হলে এক চামচ দুধ দিয়ে ময়লা তুলে ফেলুন। চুলার আঁচ কমিয়ে দিন।
ছানা হাতের তালু দিয়ে মথে নিন। ময়দা, চিনি ও এলাচগুঁড়া দিয়ে ছানা খুব ভালো করে মেখে নিন। ছানা ১৬-২০ ভাগ করে গোল করে রাখুন।
সব ছানার বল একসঙ্গে সিরায় দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিন। কিছুক্ষণ পরে রসগোল্লা সিরার ওপর ভেসে উঠবে। বড় চামচ দিয়ে রসগোল্লা সিরায় ডুবিয়ে পাত্র ঢেকে দিন।
২০-২৫ মিনিট পরে বাটিতে পানি নিয়ে একটি রসগোল্লা ছাড়ুন। পানিতে রসগোল্লা ডুবে গেলে এবং আকার ঠিক থাকলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
সিরাসহ রসগোল্লা একটি বড় পাত্রে ঢালুন। ১ চা চামচ গোলাপ জল দিন। ৭-৮ ঘন্টা পরে রসগোল্লা পরিবেশন করুন।
ছানা তৈরি: দুধ জ্বাল দিয়ে লেবুর রস, সিরকা, ছানার পানি অথবা ঘরে থাকা আগের দই দিয়ে ছানা তৈরি করা যায়।
বন্ধুরা বেশ কয়েকদিন আগেই আপনাদের জন্য রেসিপিগুলো দিলাম। যেন এগুলো তৈরির উপকরণগুলো এনে সময় নিয়ে সুন্দর করে তৈরি করতে পারেন। বৈশাখী রান্নার আয়োজনে আর কি কি রেসিপি দেখতে চান আমাদের জানান। আর আপনার তৈরি রেসিপিও ছবিসহ পাঠাতে পারেন... [email protected] এই মেইলে।