ঢাকা: বিশ্বজুড়ে শোনা যাচ্ছে নতুন এক আন্দোলনের কথা ‘সবুজ জীবনযাত্রা’। অন্যভাবে বলতে গেলে পরিবেশ-বান্ধব আবাসনের কথা।
স্কুলে-স্কুলে গিয়ে তারা কথা বলছে শিশুদের সাথে- তাদের শেখাচ্ছে, কি করে গড়ে তোলা যায় একটা পরিবেশবান্ধব দেশ ও মানব-সম্পদ। যেমন “টু সেভ দ্য ওয়ার্ল্ড” স্লোগান নিয়ে বর্তমানে সিটিস্কেপ এর “আই অ্যাম গ্রিন” নামে পরিচালিত কার্যক্রম। অনেকটা নীরবেই এসব কাজ করে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটি ‘নির্মাণশিল্পে’ নিয়োজিত এবং এই মুহূর্তেই তাদের নিজস্ব ভবন তৈরির কাজ চলছে গুলশান ২-এ। স্থানীয় আইন অনুযায়ী ৫০ শতাংশ জায়গা ছেড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভবনটি। কাজে নিয়োজিত দলটির সর্বদা পরিধেয় হল নিরাপদ পোশাক ও ব্যবহার করা হয় সর্বোচ্চ মানের সর্বাধুনিক সব যন্ত্রপাতি। অথচ এই বিশাল কর্মযজ্ঞের সামান্যতম আভাস বাইরে নেই। এক টুকরো ইট বা সুরকি পরে থাকে না রাস্তা বা ফুটপাথে। এর কারণ সিটিস্কেপ শুধু লিড (লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন) সার্টিফায়েড একটি ভবনই নয়, বরং এটি অর্জন করতে চলেছে সর্বোচ্চ লিড সার্টিফিকেশন-লিড প্ল্যাটিনাম সার্টিফিকেট।
ইউএসজিবিসির (ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল) পরিবেশ ও মানব সম্পদ এর প্রতি পাঁচটি আলাদা আলাদা ক্ষেত্র বিবেচনা করে তবেই সার্টিফিকেট দেয় করে লিড।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ভবনটির অবস্থান, নির্মাণ সামগ্রী, পরিবেশের প্রতি ভবনটি কতটা যত্মশীল, ভবনটি পানির অপচয় রোধ করছে কি-না, ভবনের ভেতরকার পরিবেশ এবং ডিজাইন ও নির্মাণের ক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতা।
আর এভাবেই প্রতিনিয়ত ক্ষয় হওয়া এই শহরের ধুঁকতে থাকা পরিবেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনাল। সারা বিশ্বের সবুজ বিপ্লবের একটি শক্তিশালী যোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশকে প্রমাণ করাই সিটিস্কেপ এর অঙ্গীকার।
লেখকদ্বয় সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা