আদিম যুগে মানুষ ক্ষুধা মেটাতে কাঁচা খাবার খেত। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা খাবার গ্রহণের বিষয়ে অনেক সচেতন হয়েছি।
আমরা রান্নার মাধ্যমে খাদ্যের ক্ষতিকারক জীবাণু ধ্বংস করে আকর্ষণীয় ও সহজপাচ্য করতে পারি।
খাবার মুখরোচক ও আকর্ষণীয় করতে আমরা ব্যস্ত থাকি। তবে সুস্থ থাকতে প্রয়োজন পুষ্টিগুণ বজায় রেখে রান্না করা।
না জেনে, রান্না করার আগে ও রান্নার সময় আমরা খাবারের অনেক পুষ্টির অপচয় করি। যেমন রান্নার সময় আমিষ বা চর্বি জাতীয় খাবার থেকে ভিটামিন ও মিনারেল এর অপচয় বেশি হয়। একটু সতর্ক হলেই কিন্তু আমরা এই অপচয় রোধ করতে পারি। আসুন পুষ্টিগুণ বজায় রেখে রান্না করার নিয়মগুলো জেনে নেই:
- শাকসবজি কাটার আগেই ভালোভাবে ধুয়ে নিন
- খুব ছোট টুকরো না করে শাকসবজি যতটা সম্ভব বড় করে কাটুন
- শাকসবজি খুব বেশি সময় পানিতে ভিজিয়ে না রেখে কেটেই রান্না করুন। এতে খাদ্যের ভিটামিন অক্ষুন্ন থাকবে
- পাত্রে ঢাকনা দিয়ে শাকসবজি রান্না করা হলে পুষ্টিগুণ বজায় থাকে
- ফলের খোসার নিচেই পুষ্টি উপাদান এবং আঁশ থাকে, তাই খোসা না ফেলে ফল খাওয়ার অভ্যেস করুন
- গরম পানিতে সবজি দিয়ে রান্না করলে পুষ্টিমান অনেকটাই বজায় থাকবে
- ভাত রান্নার সময় ভাতের মাড় ফেলে না দিয়ে পরিমাণ মতো পানিতে রান্না কুরন
- আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত তাপে নষ্ট হয়। তাই এসব খাবার খুব বেশি সময় ধরে রান্না করা উচিত নয়
- মাছ, মাংস বা ডিম রান্না করার সময় কম পানিতে দ্রুত আঁচে রান্না করুন
- মাইক্রোওয়েভ ওভেন এবং প্রেসার কুকারে রান্না করলে খাবারের পুষ্টি উপাদান বজায় থাকে।
পরিবারের সবার সুস্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ রাখার দায়িত্ব আমাদের। আর তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং পুষ্টিগুণ বজায় রেখে খাবার প্রস্তুত করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।