বাঙ্গালি নারীর সৌন্দর্য গহনা ছাড়া পূর্ণ হয় না। আর গহনা পছন্দ করে না এমন মেয়ে খুব কমই আছে।
সেই সুযোগে বাজার দখল করেছে রুপা। তুলনামূলক রুপার দাম কম হওয়ায় সবার নজর এখন রুপার গহনার দিকে। সোনার ডিজাইনের হুবহু গহনা রুপা দিয়ে বানিয়ে নিয়ে তাকে সোনার রঙে ধুয়ে নিয়ে ব্যবহার করছেন মেয়েরা। যে কোন রুপার জুয়েলারিতে গেলে রুপার নিজস্ব রঙের গহনা কমই চোখে পড়বে। প্রায় সবই এখন গোল্ড প্লেটিং করা। এই কিছুদিন আগ পর্যন্ত রুপার কদর কয়েকটা নির্দিষ্ট গহনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। আর এখন, পরিস্থিতি পুরো উল্টে গেছে।
রুপার জুয়েলারি দোকানগুলো সেই সুযোগে রমরমা ব্যবসা করে নিচ্ছে। এখনকার বেশির ভাগ বিয়ের উৎসবের কনের শরীরে জড়ানো জড়োয়া সেটের অধিকাংশই রুপা দিয়ে তৈরি করা বলে দাবি করেন বসুন্ধরা-ইস্টার্ন প্লাজা শপিং সেন্টারের দোকানের মালিক-কর্মচারীরা। তারা জানান, একেকটা বিয়ের উৎসবের জন্য ৩০-৫০ ভরি পর্যন্ত রুপার গহনা অর্ডার করে থাকেন। অনেক সোনা লাগে এ ধরণের গহনাগুলো রুপাতে তৈরি করে গোল্ড প্লেটিং করে নিচ্ছেন। চাঁদনীচকের রুপার গহনা ব্যবসায়ীরা প্রায় সবাই একটা বিষয়ে একমত হলেন যে -ডিজাইন দেখিয়ে দিলে তারা হুবুহু সোনার মত একই ফিনিশিং এর রুপার গহনা তৈরি করে দিতে পারেন। তবে গহনা তৈরি করতে গেলে সোনার চেয়ে রুপাতে রুপার পরিমাণটা বেশ খানিকটা বেশি লাগে বলে জানান।
রুপার সাথে পার্ল, গার্নেট, কুন্দন, রুবি, পান্না, আরও বিভিন্ন ধরণের পাথরের ব্যবহার করে ডিজাইনগুলো করা হয়। গোল্ড প্লেটিং করা ছোট বড় নিখুঁত ডিজাইনের গহনা দেখলে বোঝার কোন উপায় নেই যে এগুলো আসলে সোনার নয়, রুপার তৈরি। গোল্ড প্লেটিং করা গহনাতে যতটা সম্ভব পারা যায় পানি না লাগানোর পরামর্শ দেন দোকানীরা। রঙের গ্যারান্টি ১ বছরের জন্য দিয়ে থাকেন অধিকাংশ দোকানী। তারপরেও রঙ ফিকে হয়ে গেলে পুনরায় রঙ করা যায়।