তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য। এগুলোর মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পণ্যটি হলো কম্পিউটার।
কম্পিউটার যাদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয়, তাদের বেশিরভাগই হলো শিশু-কিশোর। কেনইবা হবেনা, কম্পিউটারের সাহায্যে কি না করা যায়! গেমস খেলা, ছবি আঁকা, গান শোনা, সিনেমা দেখা আরও কত কি! তাই সহজেই এই বস্তুটির প্রতি আকৃষ্ট হয় শিশু-কিশোররা। এই আকর্ষণ আসক্তিতে পরিণত হতে পারে যদি এখনই সঠিক পদক্ষেপ নেয়া না হয়।
অনেক অভিভাবক মনে করেন তার সন্তানটি সারাদিন কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকলে হয়তো বড় হয়ে একজন প্রোগ্রামার কিংবা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখুন সে কম্পিউটারে আসলেই কি কোন শিক্ষামূলক কিছু করছে নাকি অযথা সিনেমা দেখে, গেমস খেলে সময় নষ্ট করছে। আর যদি ঘরে ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তাহলে তো কথাই নেই, সারা বিশ্ব তার হাতের মুঠোয়। সারা বিশ্বের ভাল জিনিসগুলো যেমন তার হতের মুঠোয় আসতে পারে, তেমনি সারা বিশ্বের খারাপ জিনিসগুলোর প্রতিও তার আগ্রহ জন্ম নিতে পারে।
আপনার সন্তানের কম্পিউটার আসক্তি তাকে স্থুলকায় করে তুলতে পারে। পাশাপাশি কম্পিউটার সিনড্রম যেমন চোখ দিয়ে পানি পড়া, মাথা ব্যথা, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি যোগ করতে পারে বাড়তি দুশ্চিন্তা। এর প্রভাবে লেখাপড়ার অবস্থা কি হবে তা নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হবেনা।
একথা সত্যি যে, কম্পিউটারের জ্ঞান থাকা এযুগে বাধ্যতামূলক। তবে এর জন্য যে কম্পিউটারকে আসক্তিতে পরিণত করতে হবে তা কেউই সমর্থন করবেন না। তাই আপনার সন্তানের কম্পিউটার ব্যবহার একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখুন। লক্ষ্য রাখুন আসলে সে কি করছে। কম্পিউটারের বিনোদনমূলক ব্যবহারের চেয়ে শিক্ষামূলক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন।
অবসর সময়ে শুধু কম্পিউটারের সামনে বসতে না দিয়ে অন্যান্য খেলাধূলার প্রতিও আকৃষ্ট করার চেষ্টা করুন। আর সবশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ কথা, ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখুন।