যে কোন মানুষের পায়ের জুতা দেখে নাকি তার রুচি,আভিজাত্য আর বংশ পরিচয় পাওয়া যায়। জুতা আবিস্কারের গল্প তো আমরা সবাই জানি।
যুগে যুগে মানুষের রুচি যেমন পাল্টেছে তেমনি ডিজাইনে এসেছে ভিন্নতা। মোগল রাজা বাদশাদের আমলের নাগরা জুতা,ঔপনিবেশিক কেতাদুরস্ত জুতা থেকে শুরু করে করপোরেট জুতা কিংবা হাল ফ্যাশনের স্টাইলিশ জুতা,কখনও কখনও নামি ব্র্যান্ডেড জুতা সবগুলোই পছন্দ অনুযায়ী,ড্রেস অনুযায়ী পরছে মেয়েরা।
কেডস্ কিংবা স্নিকার তাও আজকাল মেয়েরা পরছে সামঞ্জস্যপূর্ন পোশাকের সাথে। তবে মানুষ আভিজাত্যের চেয়ে এখন স্বাচ্ছন্দ এবং আরামকে সবার আগে গুরুত্ব দেয়। দ্বৈনন্দিন কাজে কর্মে চলাফেরায় মেয়েরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে পাতলা চপ্পল জুতায়।
পাতলা চপ্পলের আকর্ষনটা শুরু হয়েছে এর ডিজাইনে বৈচিত্রময় উপাদানের ব্যবহার এবং আরামদায়ক হওয়ার কারণে। হালকা ডিজাইনের চপ্পলের ওপর বাহারি কাতান কিংবা ব্রকেড কাপড়, লেস,পাথর, কড়ি, পুঁথি, চুমকি ইত্যাদি খুব সহজেই ক্রেতা আকৃষ্ট করে।
চপ্পলের সোল সাধারনত হালকা রাবারের হয়ে থাকে। আর দামটাও থাকে হাতের নাগালে। এই জুতা মেয়েদের দৈনন্দিন ব্যবহারের তালিকায় প্রথম সারিতে অবস্থান করছে। গজ কাপড়ের দোকানে কামিজের কাপড় কেনার পর সালোয়ার, ওড়না ম্যাচিং করতে চায়, সেই ধারার সাথে যোগ হয়েছে ম্যাচিং চপ্পল জুতা। রুচিশীল মেয়েরা এখন তাদের প্রতিটা ড্রেসের সাথে রঙ মিলিয়ে চপ্পল জুতা ব্যবহার করছে। ড্রেসের রঙ এবং চপ্পল জুতার রঙ মিলিয়ে এখনকার মেয়েরা দারুন পরিপাটি।
চপ্পল জুতাগুলো পাওয়া যায় ১২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। নিউমার্কেট,গাউসিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন শপিং মলে পাওয়া যায় এই চপ্পল জুতা।