ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় পর্যটকদের প্রিয় হোটেল মার্ক

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৫
মালয়েশিয়ায় পর্যটকদের প্রিয় হোটেল মার্ক

কুয়ালালামপুর: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া এখন দুনিয়াজোড়া পর্যটকদের কাঙ্খিত জায়গা। সারা বিশ্বের পর্যটকরা এখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত দেশটিকে ঘুরে দেখার জন্য।

মুসলিম অধ্যুষিত হলেও পর্যটকদের জন্যে অবারিত বিনোদনের দ্বার খুলে রেখেছে দেশটি।

রাজধানী কুয়ালালামপুরের স্থাপত্য সৌন্দর্য নজরকাড়ে পর্যটকদের। টুইন টাওয়ার, কেএল টাওয়ার, মারদেকা স্কয়ার আর জমজমাট বুকিত বিনতাংয়ের আকর্ষণ এড়ানো দায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পাহাড় চূড়া গ্যান্টিং হাইল্যান্ড বা ঐতিহাসিক বাতু কেভস না দেখলে মালয়েশিয়াকে উপভোগ করাও বাকি থেকে যায়।

পর্যটক হিসেবে বা প্রয়োজনীয় কাজে কুয়ালালামপুরই প্রাণকেন্দ্র। এরপর এখান থেকে পরিকল্পনা হতে পারে, পেনাং বা লাঙ্কাউই ঘুরে আসার।

ভিনদেশে ঘুরতে এসে আপনার খুবই প্রয়োজনীয় তালিকায় অবশ্যই রয়েছে ভাল থাকার স্থান। নির্মল পরিবেশে ৫ তারকা মানের হোটেল পেয়ে গেলে সেটি হবে সোনায় সোহাগা। আর সেখানে যদি থাকে নিজ দেশের ব্যাবস্থাপনা, তাহলেতো আর ভাষাজনিত সমস্যাও থাকলো না।

কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রস্থল জালান পুডুতে অবস্থিত ‘দ্যা মার্ক’ হতে পারে আপনার আরামদায়ক বিশ্রামের আশ্রয়। ৩ তারকার খেতাব থাকলেও এখানে আপনি পাবেন ৫ তারকা হোটেলের সেবাই। হোটেলটির আভ্যন্তরীণ নান্দনিক সৌন্দর্য মন কাড়ে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের।

এই হোটেলটিতে থাকার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যোগাযোগ ব্যাবস্থা। মালয়েশিয়ার যেকোনো প্রান্তে পৌঁছাতে বাস পাওয়া যাবে হোটেলটির সামনের পুডুরায়া
বাস স্ট্যান্ডে। আর কয়েক মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন বুকিত বিনতাংয়ে। বাংলা মার্কেট আর চায়না টাউনের মতো পরিচিত কেনাকাটার জায়গা পাচ্ছেন হোটেলের সামনের রাস্তা পেরোলেই। কেএল টাওয়ার, ঐতিহাসিক সেন্ট্রাল মার্কেট বা মারদেকা স্কয়ার পৌঁছাতেও আপনার প্রয়োজন হবে না কোনো বাহন। হাঁটা দূরত্বেই রয়েছে সবকিছু।

এখান থেকে রয়েছে এলআরটি সুবিধা। পুরো কুয়ালালামপুর আর আশপাশের এলাকা ঘুরতে পাশেই রয়েছে এলআরটি স্টেশন। টাইমস স্কয়ার বা লয়াট প্লাজায় শপিং করতে যেতে পারেন কয়েক মিনিটের ব্যাবধানে।

থাকার জন্যে বেশ আরামদায়ক মার্কের রুমগুলো। আকর্ষণীয় ইন্টেরিয়র ডিজাইন রুমগুলোতে আপনাকে দেবে শান্তির পরশ। ৩টি ক্যটাগরিতে ৪৭টি রুমের মধ্য থেকে পছন্দ মতো বুকিং দিতে পারেন নিজেরটি। মার্কে রয়েছে কুইন বেড সাইজের এসেনশিয়াল রুম। কিং, কুইন ও টুইন সুপার সিঙ্গেল বেড সাইজেরর সুপেরিয়র রুম। এছাড়াও কিং সাইজের প্রিমিয়ার রুম দেবে আভিজাত্যময় বাসের সুযোগ। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমগুলোতে এলইডি টেলিভিশনে চ্যানেল ঘুরিয়ে সময় কাটাতে পারেন আপনি। রেফ্রিজারেটর, সেফটি বক্স ছাড়াও ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন পুরো হোটেল কমপ্লেক্সে

হোটেলের সাজানো লবি সঙ্গে আসা অতিথিকে দেবে আপনার সুন্দর রুচির পরিচয়। সেখানে রয়েছে ডেস্কটপে বসেই ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের সুবিধা। সুতরাং ব্যাবসায়ীরা লবিতে বসেই সেরে নিতে পারেন প্রয়োজনীয় দাফতরিক কাজ।

বাংলাদেশি ব্যাবস্থাপনা হওয়ায় হোটেলের অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সাহায্য নিয়েই মালয়েশিয়া ভ্রমণের পরিকল্পনা সাজাতে পারেন। যাতায়াতের পথ বাতলে দেওয়ার সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে হোটেল কতৃপক্ষ কার্পন্য করবে না।

মার্কের রুম ভাড়া কুয়ালালামপুরের অন্যান্য ৫ বা ৩ তারকা হোটেলের তুলনায় হাতের নাগালে। আর বর্তমানে চলছে বিশেষ ছাড়! ১৩৯  রিঙ্গিতের এসেনশিয়াল রুম পাওয়া যাচ্ছে ১১০ রিঙ্গিতে। ১৬০ রিঙ্গিতের সুপেরিয়র রুম ১২৫ রিঙ্গিতে এবং প্রিমিয়ার রুমের ১৮০ রিঙ্গিতের সেবা ১৪০ রিঙ্গিতেই পাবেন আপনি। পর্যটকদের জন্যে আকর্ষণীয় এ মূল্যছাড় ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে গ্রাহকদের।

তবে এই শেষ নয়। বাঙ্গালি বলে কথা, তাই বাঙ্গালির জন্যে ছাড়ের মাত্রাটাও বেশি বেশি। বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটকরা আগাম বুকিং দিয়ে নিতে পারেন আরও ১০ শতাংশ ছাড়ের সুবিধা। আর এ সুবিধা শুধুই বাংলাদেশী গ্রাহকদের জন্যে।

মালয়েশিয়া এখন বাড়ির উঠোনের দূরত্বের দেশ। সাড়ে ৩ ঘন্টার বিমান ভ্রমণেই পৌঁছে যাওয়া যায় মালয়েশিয়া। কুয়ালালামপুরের ফেডারেল টেরিটরিতে অবস্থিত ১০ জালান পুডুর মার্ক হোটেল সেখানে দিচ্ছে পর্যটনবান্ধব আরামদায়ক থাকার পরিবেশ। তাই মালয়েশিয়া ভ্রমণে হোটেল বুকিং এবং মার্ক হোটেলের বিস্তারিত খোঁজ নিতে ভিজিট করুন-www.themarquehotels.com।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৫
এমএন/এটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ