ঢাকা: চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সিএমএম কোর্ট হাজতের দায়িত্ব বণ্টনকারী কনস্টেবল মাহমুদ আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হলো৷
ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জসীম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৭ নভেম্বর নুরে আজাদ নামে এক পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঘটনার দিন আজাদের মুখে-চোখে স্প্রে ছিটিয়ে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার সঙ্গীরা।
একই ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অপর পুলিশ সদস্যরা হলেন- সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনচার্জ (এসআই) নাহিদুর রহমান ভূঁইয়া, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শরিফ হাসান, জয়নাল ও আব্দুস সাত্তার।
গত ২০ নভেম্বর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে ছিটিয়ে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় রাতে ২০ জঙ্গিকে আসামি করে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড হলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া। তার অনুমতিতে এ ছিনতাই অপারেশন পরিচালনা করেন সংগঠনের সামরিক শাখার প্রধান মশিউর রহমান ওরফে আইমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
কেআই/জেএইচ