নওগাঁ: মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে নওগাঁয় শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে এই অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি শহিদুল ইসলাম।
তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর তাদের বিভাগীয় গণসমাবেশকে বাধা দিতেই এ ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে। আর বাস মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, গণসমাবেশের সঙ্গে তাদের ডাকা ধর্মঘটের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
শহরের বালুডাঙ্গা ব্যাসস্টান্ডে দাঁড়িয়ে যাত্রী খোকন হোসেন বলেন, জরুরি একটি কাজে সাড়ে ১০টার মধ্যে রাজশাহী যেতে হবে। প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করেও কোনো যানবাহন পাচ্ছি না। কয়েকদিন পর পর পরিবহন শ্রমিক ও মালিকেরা ধর্মঘটের ডাক দেন। এতে অন্য কারও কিছু না হলেও যাত্রীদের হয়রানি এবং ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
বাসস্ট্যান্ডে আসা আরও দুই যাত্রী রাসেল ও আলামিন বলেন, বাসস্ট্যান্ডে আসার আগে শুনেছি ধর্মঘট, কিন্তু চিন্তা করছিলাম বিকল্প কোনো বাহনে করে যাব। কিন্তু স্ট্যান্ডে এসে কোনো কিছুই পাচ্ছি না। এমন কী সিএনজিচালিত অটোরিকশাও দেখা যাচ্ছে না। আবার যেগুলো আছে বেশি ভাড়া চাচ্ছে।
বাস চলাচল বন্ধের ব্যাপারে নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ বলেন, এটা সারা দেশেই হচ্ছে। বিএনপির গণসমাবেশের দুই-একদিন আগে থেকেই এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এখানেও হবে জেনেই আমরা সেইভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের কেউ কোনোভাবেই আটকে রাখতে পারবে না। ইতোমধ্যে আমাদের নেতাকর্মীরা রাজশাহী যেতে শুরু করেছে। সমাবেশ সফল করতে যেকোন ভাবে আমরা নেতাকর্মীরা রাজশাহী যাব।
নওগাঁ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ ও জ্বালানি তেলসহ যন্ত্রাংশের মূল্য হ্রাস করাসহ আমাদের বেশকিছু দাবি সরকারের কাছে ছিল। এই দাবির কারণেই রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
গত ২৬ তারিখে মোটর-মালিক-শ্রমিক সবাই মিলে নাটোরে একটি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত বা আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলবে।
তবে বিএনপির সম্মেলনের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে তিনি বলেন, গত দুই মাস আগে থেকে এসব বিষয় নিয়ে মিটিং করা হচ্ছিল। গত ২৬ তারিখে নাটোরে একটি মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখানে নওগাঁর একক কোনো বিষয় না। পুরো রাজশাহী বিভাগের বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২২
আরএ