ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কম্পিউটারে বাংলা পত্রিকা প্রকাশ স্মরণীয় রাখতে স্মারক ডাকটিকিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২২
কম্পিউটারে বাংলা পত্রিকা প্রকাশ স্মরণীয় রাখতে স্মারক ডাকটিকিট

ঢাকা: কম্পিউটারে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের অভিযাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখতে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।  

আজ থেকে ৩৫ বছর আগে ১৯৮৭ সালে কম্পিউটারে কম্পোজ করে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের মাধ‌্যমে বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়।

উন্মোচিত হয় বিজয় বাংলা সফটওয়‌্যারের মাধ‌্যমে নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের স্বর্ণালী এক অধ‌্যায়ের।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে দশ টাকা মূল‌্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট ও দশ টাকা মূল‌্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। এ উপলক্ষে পাঁচ টাকা মূল‌্যমানের ডাটাকার্ড ও একটি বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করা হয়।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ডাকটিকিট একটি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংস্কৃতি, বরেণ্য ব্যক্তি ও ঘটনার ঐতিহাসিক স্মারক হিসেবে কাজ করে। চিঠি লেখার দিন থাকুক বা না থাকুক ডাকটিকিটের প্রয়োজনীয়তা আছে, থাকবে। নতুন প্রজন্মকে তাই ডাকটিকিট সংগ্রহে উৎসাহিত করতে হবে। একইভাবে এটি একটি সৃজনশীল কাজ হওয়ায় অঙ্কন-ডিজাইনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত সৃজনশীল মানুষদের স্মারক ডাকটিকিটের ডিজাইনে কাজে লাগাতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পৃথিবীতে বিশেষ করে ডাকটিকিট সংগ্রাহকদের কাছে বাংলাদেশের ডাকটিকিটের ব‌্যাপক চাহিদা আছে উল্লেখ করেন কম্পিউটারে বাংলা ভাষার এ উদ্ভাবক।  

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মুদ্রণ যন্ত্রে বাংলা হরফের ক্রমবিকাশ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৪৫৪ সালে জার্মানিতে মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার হলেও পঞ্চানন কর্মকারের হাত ধরে ৩২৪ বছর পর তা হুগলিতে আসে। শীশার হরফে বাংলা প্রকাশনার সেই কঠিন যুগ পেরিয়ে সাপ্তাহিক আনন্দপত্রের প্রকাশনা ছিল বাঙালির ইতিহাসের একটি অভাবনীয় অধ‌্যায়। এ অধ‌্যায়টির উদ্ভাবক কে সেটা বড় বিষয় নয়। কিন্তু ইতিহাসের পথরেখায় সেটি যাতে মুছে না যায় সেজন‌্য স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে ডাক অধিদপ্তর সঠিক দায়িত্বটি পালন করেছে।

দেশের প্রথম ডিজিটাল সংবাদ মাধ‌্যম আনন্দপত্র বাংলা সংবাদ সংস্থার সম্পাদক মোস্তাফা জব্বার বলেন, কম্পিউটারে বাংলা হরফে সাপ্তাহিক আনন্দপত্র এর প্রকাশনা দেশের মুদ্রণ ও প্রকাশনার শিল্পের জন‌্যে ঐতিহাসিক মাইলফলকই নয়, এটি দেশে সংবাদপত্র বিকাশে বিস্ময়কর অবদান রেখে আসছে। সাপ্তাহিক আনন্দপত্র বাংলা পত্রিকার এ সম্পাদক এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, মানুষের জন‌্য কাজ করার চেয়ে ভালো কাজ আর কিছু হতে পারে না।

এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল আলম, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হারুন উর রশীদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২২
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।