রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত চর আষাড়িয়াদহ। ১৮ বর্গ কি.মি. আয়তনের এ চরের ১৬টি গ্ৰামে ৩১ হাজার মানুষ বসবাস করেন।
চরের মানুষের জন্য নেই শতভাগ সেনিটেশন, নেই বিশুদ্ধ খাবার পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।
তীব্র নদীভাঙন, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে এখানকার মানুষদের টিকে থাকতে হয়। এ চরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ দুর্গম ও জটিল। চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে গোদাগাড়ীর বিদিরপুর ঘাট থেকে চর আষাড়িয়াদহ ঘাট পর্যন্ত তিন কি. মি. নৌপথে ফেরি চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, চর আষাড়িয়াদহ অবহেলিত চরাঞ্চলের মানুষের কাছে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সুবিধা খুব একটা পৌঁছায় না। এসব এলাকার খাদ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্প ও বরাদ্দ নেই।
তিনি বলেন, এখানে পলিযুক্ত উর্বর কৃষিজমিতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। পর্যাপ্ত জনবল থাকায় কৃষি ও গবাদিপশু পালনের সম্ভাবনাও রয়েছে।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল চর আষাড়িয়াদহ পরিদর্শন করে ফেরি চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছেন। এ সময় তিনি শিগগিরই এই প্রস্তাবনা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় পাঠানোর কথা জানিয়েছেন।
পরে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু চরাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠী বাদ পড়েই রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য দিক থেকে চরের মানুষ এগোতে পারছে না। এখন সময় এসেছে চর নিয়ে অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়নের। ফেরি চলাচল শুরু হলে চর অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তার লাভ করবে। বিনিয়োগ বাড়বে ফলে কৃষকরা সরাসরি উপকৃত হবেন।
এছাড়াও তিনি বলেন, এ চরের হতদরিদ্র মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০টি ঘর দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২২
এসএস/এসআইএস