ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২৯২ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পাচ্ছেন ‘বীর নিবাস’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২২
২৯২ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পাচ্ছেন ‘বীর নিবাস’

সাতক্ষীরা: ‘বীর নিবাস’ পাচ্ছেন সাতক্ষীরার ২৯২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। নির্মাণাধীন এসব বীর নিবাস আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগেই সুবিধাজনক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বীর নিবাসগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪১টি, তালা উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ০৮টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৪টি, কলারোয়া উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৪টি, কালিগঞ্জ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৩টি, আশাশুনি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৮টি, দেবহাটা উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২টি এবং শ্যামনগর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০টি বীর নিবাস নির্মাণ করা হচ্ছে।    

অসচ্ছল-শহীদ-প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ২২ ফুট প্রস্থ ও ৩৩ ফুট দৈর্ঘ্যরে প্রতিটি বীর নিবাসে দুটি বেড রুম, একটি ড্রইং রুম, একটি ডাইনিং রুম, একটি কিচেন ও দুটি বাথরুমসহ রয়েছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা।

তালা উপজেলার উথলী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার বলেন, কোন কিছু পাওয়ার আশায় যুদ্ধে যাইনি। তবুও সরকার আমাদের যে বাড়ি বানিয়ে দিয়েছে, তা দেখলে গর্ব হয়। সরকারের দেওয়া বীর নিবাসে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে জীবনের শেষ দিনগুলো ভাল কাটবে বলে প্রত্যাশি করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আল্লাহ দীর্ঘায়ু করুক, সব সময় এই দোয়া করি।  

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। সরকার ঘরগুলো দেওয়াতে অসচ্ছল-শহীদ-প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাই পাবেন এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওবায়দুল হক বলেন, তালা উপজেলায় ৪২টি বীর নিবাসের কাজ চলমান রয়েছে। ডিজাইন মোতাবেক ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ঘর নির্মাণের কাজ শেষে উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা মো. সোহাগ খান বলেন, উপকূলীয় ও দুর্যোগ প্রবণ উপজেলা আশাশুনিতে ৬০ জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার বীর নিবাস পাচ্ছে। দুর্যোগ প্রবণ উপজেলা হওয়ায় কাজ বাস্তবায়নে কিছুটা বিলম্ব হলেও অধিকাংশ ঘরের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। উদ্বোধনের জন্য বেশ কিছু ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে।
 
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইয়ারুল হক বলেন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নিদের্শনায় অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে বীর নিবাসগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২২
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।