রংপুর: রংপুর নগরীর ধাপ জেএল রোড এলাকায় একটি বাড়ি দখল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাদী নাজনীন নাহার ও তার পরিবার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রায় ৩২ বছর থেকে রংপুর নগরীর ধাপ জেএল রোড এলাকায় বাদী নাজনীন নাহার বেগম ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ জমিতে তিনতলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবনের নিচতলায় ওষুধের দোকান, ইলেক্ট্রনিক্স দোকান ও দ্বিতীয়তলায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভাড়া দিয়ে তৃতীয়তলায় বাদিনী নিজে সপরিবারে বসবাস করে আসছেন। গত ৪ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান, কর্মকর্তা আহসানুজ্জামানসহ অন্যান্য আসামিরা বাড়িতে প্রবেশ করে ওই বাড়ি কেনার জন্য বায়না দলিল করেছেন বলে দাবি করেন।
বাদী নাজনীন নাহার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানায় তারা কোনো জমি বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বায়না করেননি। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আসামি আহসান খানের হুকুমে অন্যান্য আসামিরা বাদিনীর পরিবারের ওপর চড়াও হয় এবং সবাইকে মারধর করে। এ সময় আসামিরা সোনার গহনা ছিনিয়ে নেয় এবং লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। তারা বাদিনী ও তার স্বজনদের হুমকি দেয়, এই জমি তারা কেনার জন্য বায়না দলিল করেছেন। এ জায়গা ছেড়ে দিয়ে অনত্র চলে না গেলে বাড়ির সবাইকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে।
এ ঘটনায় বাদী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। পরে পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে ধাপ পুলিশ ফাঁড়ি ও মেট্রোপলিটান কোতয়ালী থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আদালতে তারা মামলা দায়ের করেছেন। পরে বাদিনীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১০ আসামির বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে তাদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দেন আদালত।
এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আহসান খান বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। আমরা কয়েকজন মিলে জমিটি কেনার জন্য এর প্রকৃত মালিকের সঙ্গে বায়না দলিল সম্পন্ন করেছি। জমি দখলের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
নিউজ ডেস্ক