ঢাকা: রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্টে ছুরিকাঘাতে আশফাকুর রহমান চৌধুরি সাতিল (২০) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’জন শিক্ষার্থী।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিআইটি প্রজেক্ট ১৩ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাতিলের বাড়ি ঢাকার দোহারে। তার বাবার নাম গোলাম মনিরুজ্জামান চৌধুরি। সাতিল বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
আহত দু’জন হলেন- রুপম দত্ত (১৮) ও সোয়াইব হোসেন (১৮)। এরা দু’জন পলিটেকনিকের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। সোয়াইবের বাবার নাম শাহজাহান মিয়া। তাদের বাসা ডিআইটি প্রজেক্টের ৫ নম্বর রোডে। তেজগাঁও পলিটেকনিকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েন সোয়াইব। রুপম বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
হতাহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া তারই পরিচিত সায়েম সিকদার নামে একজন বলেন, সন্ধ্যা পর মানুষের ডাক চিৎকার শুনে ১৩ নম্বর রোডে গিয়ে দেখি- সাতিল, রুপম ও সোয়াইব রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। তখন সেখান থেকে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় এশিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি (সায়েম)। সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাড়ে ৯টার দিকে সাতিলকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, রকি নামে একজনসহ কয়েকজন মিলে ওই তিনজনকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে শুনতে পেরেছি।
আহত রুপম জানান, দুইদিন আগে ১৩ নম্বর রোডে রকি তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেন- সে তার সঙ্গে ‘তুই’ সম্বোধন করে কথা বলে কেনো? এ সময় তাকে (রুপম) শাসানোও হয়। রোববার সন্ধ্যার পর আড্ডা শেষে বাসায় ফিরছিলেন রুপম। ১৩ নম্বর রোডে দাঁড়িয়ে থাকা রকি তখন রুপমকে একা পেয়ে মারধর শুরু করে। এ দৃশ্য দেখে সেখানে থাকা সোয়াইব ও সাতিল দৌড়ে এসে রকির হাত রুপমকে বাচানোর চেষ্টা করেন। এতে তাদের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। এর কিছুক্ষণ পর রকি দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। এরপরই তারা নিজেদের শরীর থেকে রক্ত ঝড়তে দেখেন।
এ ব্যাপারে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, নিহত সাতিলের বাম পায়ের রানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। আর সোয়াইবেরর বুকেসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ছুরিকাঘাত রয়েছে। জরুরি বিভাগে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
এজেডএস/এসআরএস