ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির দোসররা এখনো সক্রিয়: ফরহাদ হোসেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির দোসররা এখনো সক্রিয়: ফরহাদ হোসেন

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির দোসররা এখনো সক্রিয় বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক ‘জীবনকোষ’ গ্রন্থে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা এখনো লক্ষ্য করছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য একটি অপশক্তি কতটা জোরালো ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির দোসর ও তাদের সন্তানরা এখনো সক্রিয়। মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলোকে নষ্ট করার জন্য তাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।  

তিনি বলেন, যারা এদেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবী সন্তান, যারা সেই সময় বুদ্ধিজীবী ছিলেন, যাদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। এদেশের রাজাকার-আলবদর আলশামস নেতারাই বুদ্ধিজীবীদের ঘর-বাড়ি চিনিয়েছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের। তারা বুদ্ধিজীবী হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। তাদের সন্তানরা এখনো রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তির দোসরা এখনো যে ভাষায় কথা বলে, তারা কিন্তু এখনো পিছু হঠেনি। তাদের আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং দেশীয় ঐক্য এখনো রয়ে গেছে। সম্প্রতি ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে অনেক ঘটনা আমরা দেখেছি।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে যারা হত্যা করলো, তারা খুনিদের পুরুস্কৃত করলো। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধে আইন পাস করলো। যারা ৭১ সালে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, তাদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হলো। তারা যখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে আমার মনে হয় জাতির সামনে মুখোমুখি বসে ফয়সালা করে ফেলা উচিত। আর কতসময় প্রয়োজন তাদের বোঝাপড়া শেষ করতে। ৭১ সালে তাদের যে দোসর ছিল, এখনো তারা তাদের সঙ্গে রয়ে গেছে। তারাই কিন্তু আমাদের ওপরে অনেক নিষেধাজ্ঞা এবং ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশিদ রিয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।  

অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের ফুল এবং স্মারক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।