ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মধুমতি নদী তীরের মাটি উত্তোলন, ভাঙনের শঙ্কা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
মধুমতি নদী তীরের মাটি উত্তোলন, ভাঙনের শঙ্কা

ফরিদপুর: ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মধুমতি নদীর তীর সংলগ্ন দুই ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে বর্ষা মৌসুমে নদীভাঙনের কবলে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মধুমতি নদীর তীরবর্তী আড়পাড়ার রাজধরপুর মৌজা কাগজপত্রে শ্রীপুর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হলেও ওই এলাকায় বসবাসকারীরা ভোট দেন ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নে। ফলে যেকোনো ঘটনায় মধুখালী ও শ্রীপুর উপজেলার প্রশাসনের মধ্যে চলে টানাহেঁচড়া। এর সুযোগ নিচ্ছেন অপরাধীরা।

মধুখালী উপজেলা প্রশাসন জানান, ওই এলাকাটি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা এবং মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী। সীমানা জটিলতায় সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারছেন না তারা।

যে স্থানটিতে মাটি কাটা হচ্ছে ওই স্থান থেকে কয়েকশ মিটার দূরে কামারখালী বাজার। নির্মাণাধীন ফরিদপুর-মাগুরা রেলপথের সেতু (মধুমতি নদীর ওপর নির্মাণকাজ চলমান), বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের যাদুঘর ও চলাচলের একমাত্র সড়ক বর্ষা মৌসুমে ভাঙনে পড়ার আশঙ্কায় পড়েছে।

স্থানীয় ছাহেরা আক্তার ও আছিয়া বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল দুই ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। মাটি কাটার মেশিন দিয়ে গভীর করে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বেড়ে গেলে তখন ভাঙনের কবলে পড়বে এসব এলাকা। এসব মাটি পাশের একটি ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তারা।

আব্দুর রউফ মোল্লা নামের আরেকজন বলেন, মাটি কাটার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের (স্থানীয়দের) কোনো কথাই আমলে নেওয়া হয় না। বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে।

জানতে চাইলে মাইসা ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী গোলাম কিবরিয়া বলেন, শ্রীপুরের রাজধরপুর মৌজায় আমার জমি রয়েছে। সেই জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার করছি।
এখান থেকে অনেকেই মাটি কাটেন দাবি করে তিনি বলেন, মাটি কাটলেও বর্ষা মৌসুমে ওই জায়গায় পলি পড়ে পরের বছর ভরাট হয়ে যাবে। ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করেছি। আগামী সপ্তাহে অনুমোদন দেওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ওই এলাকার মানুষ মধুখালীর ভোটার হলেও ওই জমির মৌজা শ্রীপুর উপজেলায় পড়েছে। এজন্য সেটি দেখভালের দায়িত্ব শ্রীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। তারপরও যেহেতু তারা মধুখালীর ভোটার। তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তাই জায়গাটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।