কুমিল্লা: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মুরাদনগর ডি আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গোলাম সারোয়ার চিনুর অনুসারীরা মাঠে অবস্থান নেন। একই সময়ে অপর সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আহসানুল আলম সরকার কিশোরের অনুসারীরা মিছিল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন। তখন গোলাম সারোয়ার চিনুর সমর্থকরা কিশোরের লোকজনকে ধাওয়া দিয়ে, চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। গুরুতর আহত হন মোচাগাড়া গ্রামের জহির মিয়ার ছেলে রং মিস্ত্রি ইয়াসিন। এছাড়াও আহত হয়েছেন গুঞ্জর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে মামুনসহ আরও কয়েকজন।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর বলেন, আমরা কাউকে মারার উদ্দেশে সম্মেলনে যাইনি। প্রতিপক্ষ আমার বয়স্ক কর্মীদের মেরে পানিতে ফেলেছে। আমি আমার কর্মীদের বলেছি, প্রয়োজনে মার খাইবা, তবু কারও গায়ে হাত দিবা না। তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা কারও গায়ে হাত দেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে ফোনে চেষ্টা করেও গোলাম সারোয়ার চিনুকে পাওযা যায়নি।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি।
দীর্ঘ ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত এই কাউন্সিল শেষে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি ও গোলাম সারোয়ার চিনুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উপজেলার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের সভাপতিত্বে ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক রানার সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও হোমনা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা আহমদ মেরী।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
এনএস