বগুড়া: মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে শহরের টেম্পল রোডের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিরোধ শুরু হয়। ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে পদ বঞ্চিতরা আন্দোলন শুরু করেন। দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাদের এ আন্দোলনের কারণে নবগঠিত কমিটি কার্যালয়ে ঢুকতে পারছিল না।
গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ প্রহরায় দলীয় কার্যালয়ে ঢোকে নবগঠিত কমিটি। আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের হটিয়ে দিয়ে এদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচিতে নতুন কমিটি অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেয় পুলিশ। শুক্রবার সকালে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচিতেও নবগঠিত কমিটির নেতারা অংশ নিতে দলীয় কার্যালয়ে আসেন। এ সময় ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সব সহযোগী সংগঠনের নেতারা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হন। সকাল ৮টার দিকে পতাকা উত্তোলনের পর পরই সেখানে ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে নতুন কমিটির ধাক্কাধাক্কি থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের অনুসারীদের ধাওয়া করে।
পরে কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি মিছিল সাতমাথা চত্বরে গেলে নতুন কমিটির নেতারা যোগ দেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যান। পরে পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে সাতমাথা এলাকায় ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যায়। এভাবে মিছিল-পাল্টা মিছিলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শেষে দলীয় কার্যালয়ে শুধুমাত্র জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শেষ করেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালনকালে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে এ সমস্যার সমাধান করা হয়। কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২২
এমজে