ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘হিন্দি গান’ বাজিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিজয় দিবস উদযাপন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
‘হিন্দি গান’ বাজিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিজয় দিবস উদযাপন ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি

হবিগঞ্জ: মহান বিজয় দিবসের উদযাপনের অনুষ্ঠানস্থলে ‘হিন্দি গানের’ সঙ্গে একজন শিক্ষক ও কয়েকজন শিক্ষার্থীর নাচের একটি ভিডিও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) হবিগঞ্জ শহরের জালাল স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।  

সতেচনদের অভিমত—  স্বদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্যের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গভীর অনুরাগ ও বন্ধনের অভাব থাকায় এমনটি হয়েছে।  

১২ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে রয়েছে—  ইশতিয়াক শাকী নামে একজন নাচের শিক্ষক জালাল স্টেডিয়ামের এক কোণে ৮-১০ জন ছাত্রীর সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সঙ্গে বাজতে থাকে ‘হিন্দি’ ভাষার একটি গান। ছাত্রীদের কয়েকজনের গায়ে হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ড্রেস।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের না। তিনি ছাত্রীদের পারিবারিক নাচের শিক্ষক। কয়েকজন ছাত্রী অভিভাবকদের সঙ্গে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ওই শিক্ষকের সঙ্গে নাচে অংশ নেন।  

এদিকে, বিদেশি গান বাজিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করে নেতিবাচক মন্তব্য করতে থাকেন।  

হবিগঞ্জ শহরের বাসিন্দা সচেতন মহলের কয়েকজন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্যের প্রতি গভীর অনুরাগ ও বন্ধনের সৃষ্টি করেন তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকরা। আমাদের দেশাত্মবোধক অনেক সঙ্গীত থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলে বিদেশি গানের সঙ্গে নাচে অংশ নেওয়ার ঘটনাটি প্রমাণ করে, তাদের মধ্যে স্বদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্যের প্রতি গভীর অনুরাগ আর বন্ধন হয়নি।  
এ ঘটনাটি খতিয়ে দেখ সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।  

শিক্ষক ও কথা সাহিত্যিক রুমা মোদক বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি আমাদের সামগ্রিক হতাশার অংশ। স্বাধীনতা, দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ ইত্যাদি সম্পর্কে কোনো বোধ, সংবেদনশীলতা, সচেতনতা আমরা আমাদের সন্তানদের মধ্যে তৈরি করতে পারিনি। এই বাচ্চা মেয়েগুলোর কোনো দোষ নেই। দোষ আমাদের। আমরা যারা অভিভাবক আমরা যারা শিক্ষক। আমরা ব্যর্থ হয়েছি সন্তানদের সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে।

হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকেয়া খানম বলেন, ওই শিক্ষক আমাদের প্রতিষ্ঠানের নয়, নাচের স্থলে আমার বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রী দাঁড়িয়েছিল। তারা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে সেখানে অবস্থান করছিল।  

এ বিষয়ে নাচের শিক্ষক ইশতিয়াক শাকীর সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে লাইন কেটে দেন। পরেরবার কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।