ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুজিব-ইন্দিরার হাত ধরে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
মুজিব-ইন্দিরার হাত ধরে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী

সিরাজগঞ্জ: বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা মুজিব ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরার হাত ধরে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী বন্ধন তৈরি হয়েছিল বলে উল্লেখ করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম বলেছেন, আজ শেখ হাসিনা সেই বন্ধনকে সুদৃঢ় রাখার চেষ্টা করছেন।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারতের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠন বর্ধমান ছন্দম আয়োজিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধের যে ডাক দিয়েছিলেন, সে ডাকে সাড়া দিয়ে কোটি মুক্তিকামী বাঙালি মরণপণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে পনেরো হাজার ভারতীয় সেনা আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। কোটি বাঙ্গালিকে আশ্রয় দিয়ে ভারত একাত্তরে সৎ প্রতিবেশীর মহৎ মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন। দুই দেশের দুই মহান নেতা মুজিব-ইন্দিরার হাত ধরে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী বন্ধন তৈরি হয়েছিল। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই ঐতিহাসিক বন্ধনকে সুদৃঢ় রাখতে সদা সচেতন রয়েছেন।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহ আলী এ তথ্য জানান। গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বর্ধমানে মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন রবি উপাচার্য।

ড. মো. শাহ্ আজম বলেন, আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় জনগণের যে ত্যাগ ও নিবেদন- তার সঙ্গে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দেশে এবং বিদেশে রাষ্ট্রনায়কোচিত তৎপরতার কথা আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি।

অনুষ্ঠানে বর্ধমান ছন্দম, পূর্ব বর্ধমান সার্ক কালচার সোসাইটি ও ডিডিএন বাংলা, উপাচার্য ড. মো. শাহ্ আজমকে বিশেষ সম্মাননা দেন। বর্ধমান ছন্দম নৃত্যালয়ের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন জেনিফার তাসিন, সৃজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।