ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের লড়াই শুধু পাহাড়িদের নয়: মেনন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২২
শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের লড়াই শুধু পাহাড়িদের নয়: মেনন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের লড়াই শুধু পাহাড়িদের নয়, বাঙালিরাও এই আন্দোলনে দায়বদ্ধ।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির দ্রুত ও যথাযথ বাস্তবায়নের দাবিসহ মোট ৫ দফা দাবিতে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে শাহবাগে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশের এক দশমাংশ আয়তন নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠিত। এই বড় একটি এরিয়ায় অসন্তোষ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে বাঙালি জাতি ও দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। আজকে বান্দরবানসহ বিভিন্ন জায়গায় উগ্রবাদ জঙ্গিবাদ বিস্তার করছে। পার্বত্য শান্তি চুক্তি ঠিক মতো বাস্তবায়ন হলে এর একটিও ঘটত না। এই জঙ্গিবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা শান্তি ও সমৃদ্ধির পথের অন্তরায়। তাই পাহাড়িদের পাশাপাশি বাঙালিদের জন্য পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন সমান গুরুত্বপূর্ণ।

পার্বত্য শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশংসিত হয়েছিলেন উল্লেখ করে মেনন বলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় আজকে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি নেই। আজকে পাহাড়ি অঞ্চলে আদিবাসীরা সংখ্যালঘু এবং বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এটা ছিল শান্তি চুক্তির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা। কারণ শান্তি চুক্তিতে বলা হয়েছিল বাস্তুচ্যুত সকল আদিবাসীদের পুনর্বাসন করা হবে। কিন্তু তার বিন্দুমাত্রও সফল হয়নি।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আরও বলেন, আমরা সেই ’৭৯-৮০ সাল থেকে এই লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে আসছি। আরও যত লড়াই করতে হয় আমরা করবো। তবুও পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন হতেই হবে।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পরেও পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়া সরকারের ব্যর্থতা। আজকের এই আন্দোলনে গণফোরাম ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের পক্ষ থেকে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি।

সংহতি সমাবেশে অন্যান্যদের  বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা. গজেন্দ্রনাথ মাহাতো, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ তারেক, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২২
এসকেবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।