ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ময়মনসিংহে দুই আ.লীগ নেতার বিরোধে দিনভর উত্তেজনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২২
ময়মনসিংহে দুই আ.লীগ নেতার বিরোধে দিনভর উত্তেজনা

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ নগরীর ৪নং ওয়ার্ডের মীরবাড়ী এলাকায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দুই নেতার বিরোধ সংর্ঘষে রূপ নিয়েছে। এ ঘটনায় নগরীর ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল্লাহ লিটন বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

এতে একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক) কাউন্সিলর মো. মাহাবুবুর রহমান দুলালের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়।    

এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দিনভর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তজনা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ অবস্থায় যে কোনো সময় সশস্ত্র সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন তারা।      

এর আগে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর মীরবাড়ী এলাকায় একটি রাস্তা নিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল্লাহ লিটনের সঙ্গে কাউন্সিলর মো. মাহাবুবুর রহমান দুলালের এ বিরোধের সৃষ্টি হয়।  

এ সময় দুই পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে ৪ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।  

আহতরা হলেন- মহানগর মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভীন আক্তার (৪৫), স্থানীয় বাসিন্দা আয়েশা আক্তার (৩২), শান্তা আক্তার শিপন (৪৩) ও সোহাগ (৩৮)।

এদের মধ্যে দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও আহত পারভীন আক্তার ও সোহাগ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান শহীদুল্লাহ লিটনের ছোট ভাই রিপন।

শহীদুল্লাহ লিটনের অভিযোগ, আমার বাড়ির সামনে সরকারি জায়গায় রাস্তা নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছে কাউন্সিলর মাহাবুবুর রহমান দুলাল। সে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ওই সরকারি জায়গা তার কাছ থেকে কিনে নিতে আমাকে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু তা উপেক্ষা করায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী প্রশাসনের সামনেই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মসিক কাউন্সিলর মো. মাহাবুবুর রহমান দুলালের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তার অনুসারীরা জানায়, শহীদুল্লাহ লিটন র্দীঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। এ নিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষ অতিষ্ঠ। আমরা তার বিচার দাবি করছি।  

এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শহীদুল্লাহ লিটন। তার দাবি, এলাকায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি কর্মকাণ্ড করছে কাউন্সিলর নিজেই। সে অনেক মানুষের জমি জবরদখল করে রেখেছে, তদন্ত করলে এসবের প্রমাণ পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, বিরোধের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২২
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।