ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খাল সংস্কারের নামে কাজ হচ্ছে ড্রেনের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
খাল সংস্কারের নামে কাজ হচ্ছে ড্রেনের

চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।  

কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে খাল পুনঃসংস্কারের কথা থাকলেও কোনোরকম ড্রেনের মতো করে মাটি কাটা হচ্ছে।

প্রকল্পের কাজে তদারকির অভাব রয়েছে। সঠিকভাবে কাজটি করা না হলে সরকারি বরাদ্দের টাকা গচ্চা যাবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাগাদী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছোবহানপুর পাটওয়ারী বাড়ি হতে কাদির মিজি বাড়ি হয়ে ডাকাতিয়া নদী পর্যন্ত খাল পুনঃখননের জন্য ৩৫ জন শ্রমিকের একটি প্রকল্পের কাজ চলমান। যার জন্য ৫ লাখ ৬০ হাজার  টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই প্রকল্পের সভাপতি ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন।

কাজ চলমান অবস্থায় ঘটনাস্থলে গিয়ে মাত্র ৩ জন শ্রমিক পাওয়া গেছে। তাও আবার খাল খনন নামে যে প্রকল্পের কাজ চলমান সেখানে কাজের ধরন দেখে মনে হয়েছে ছোট খাট ড্রেনের কাজ চলছে।

তিন শ্রমিকের মধ্যে একজন বলেন, আমরা আজকে ৪-৫ দিন কাজ করি। প্রথম ২ দিন ১৬ থেকে ১৭ জন শ্রমিক ছিল। এখন আবার কম। এখন ৫জন কাজ করছি। ৩ জন এখানে কাজ করছি। বাকি দুজন  ইউপি সদস্য মোশাররফ তার বাড়িতে ব্যক্তিগত কাজ করার জন্য নিয়ে গেছেন।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রকল্প শুরু হওয়ার পর কাজ কোনো দিন চলে, আবার কোনোদিন বন্ধ থাকে। বোরো আবাদসহ রবি মৌসুমের সময় সেচ সুবিধার জন্য সরকার এই প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু খাল খননের পরিবর্তে এখন ড্রেন করা হচ্ছে। সরকারি এই প্রকল্পের টাকাই গচ্চা যাবে। মূলত প্রকল্পের নামে জনপ্রতিনিধিরা বরাদ্দকৃত টাকা ভাগাভাগি করে নেন।

ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেনকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি প্রকল্পের সভাপতি হলেও কাজ হচ্ছে চেয়ারম্যানের। এই বিষয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন।

এই বিষয়ে বক্তব্যে জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বিল্লালকে পাওয়া যায়নি। তিনি ব্যক্তিগত কাজে এ মুহূর্তে ভারতে অবস্থান করছেন।  

৩৫ জনের জায়গায় ৩ জন শ্রমিক কাজ করছে জানালে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকের বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেন সরকারি প্রতিনিধি ট্যাগ অফিসার। ট্যাগ অফিসার আব্দুল হাই নিজেও শ্রমিকের সংখ্যা জানেন না।  আমি কয়েকদিন আগে কাজ দেখে এসেছি। প্রতিদিন যাওয়া হয় না। শ্রমিকের সংখ্যা তাৎক্ষণিক বলতে পারছি না।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজকে প্রকল্পের অনিয়ম সম্পর্কে অবগত করা হয়।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রকল্পটির বিষয়ে খোঁজ নিব। যদি কোন ধরণের অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে প্রকল্প কর্মকর্তাকে  ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।