গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের জন্য সহযোগিতার অভিযোগে আটক মেহেদী হাসান (২৫) নামে এক যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তাকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডিত মেহেদী উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের পগইল নাকাই গ্রামের মমতাজ আলীর ছেলে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর অবস্থায় বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধায় গরুকে খাওয়ার জন্য ধানের খড় আনতে বাড়ির বাইরে যায় মেয়েটি। এ সময় একই ইউনিয়নের চক সিংহডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জলিল প্রধানের ছেলে সুমন প্রধান (২৬) ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান ওই শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে পাশের একটি ঘাসের জমিতে নিয়ে যান। সেখানে সুমন ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। আর সুমনকে পাহারা দিয়ে ধর্ষণে সহায়তা করেন মেহেদি। সেখানে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রেখে পালিয়ে যান তারা।
পরে ওই শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে ধর্ষণের বিয়ষটি জানালে তাকে অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতাল ও পরে শহিদ বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে, গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর বাবা মোস্তফা বেপারী সুমন ও মেহেদীকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। পরে এদিন রাতেই মামলার দুই নম্বর আসামি মেহেদীকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, শনিবার মেহেদীকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে বিকেলে মেহেদীকে গাইবান্ধা জেলা কারিগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সুমনকে গ্রেফতার করতে পুলিশী তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
এফআর