বাগেরহাট : বাগেরহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আ. ছালাম হাওলাদারসহ সাতজন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বাদোখালী এলাকার আ. আজিজ হাওলাদার ও আ. ছালাম হাওলাদারের পরিবারের মাঝে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন - বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. ছালাম হাওলাদার (৫৪), তার ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবু (২৯), মামুন হাওলাদার (২৪), ছালাম হালাদারের ভাই জামাল হাওলাদার (৪৫), আ. আজিজ হাওলাদার (৪৫), তার ভাই মাজীদ হাওলাদার (৪২) এবং আসাদ হাওলাদার (৩৫)।
আহতদের মধ্যে ৬ জন বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জামাল হাওলাদারকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় আ. ছালাম হাওলাদারের মামলায় আজিজ হাওলাদারের ভাই শহিদ হাওলাদার (৩৮)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. ছালাম হাওলাদারের অভিযোগ, সকালে সুপারি কিনতে ৪ লাখ টাকা নিয়ে বাগেরহাটে যাচ্ছিলাম। বাড়ির পশ্চিম পাশের ইটের রাস্তায় পৌঁছালে আ. আজিজ হাওলাদার ও তার লোকজন আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। কারণ জানতে চাইলে তারা আমার উপর হামলা করে। মাজিদ হাওলাদার আমাকে রামদা দিয়ে কোপ দেয়। এক পর্যায়ে আমার ডাক-চিৎকারে আমার দুই ছেলে ও আমার ভাই এগিয়ে আসলে ওরা তাদেরকেও মারধর করে। আমার ব্যাগ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে যায় তারা। দেড় লাখ টাকা ব্যাগে পাই। আমি আমার টাকা ও আমাদের সবাইকে মারধরের বিচার চাই।
আহত মামুন হাওলাদার বলেন, বাবার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই ওরা হামলা করেছিল। টাকাও নিয়েছে, আবার আমাদের মারধর করেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
এদিকে ছালাম হাওলাদারের অভিযোগ অস্বীকার করে আ. আজিজ হাওলাদার বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়েছে। আমরা তিন ভাই আহত হয়েছি। আমরাও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমরা কারও কোনো টাকা নেইনি। শুধু শুধু টাকার অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনায় আ. ছালাম হাওলাদার একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত শহিদ হাওলাদার নামের এক আাসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২
এসএএইচ