পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় মামুন হোসেন নামে রিকশাচালককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা মামলার পলাতক আসামি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া বাজার থেকে গোপন সংবাদ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার আনোয়ার হোসেন পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার শৈলপাড়া এলাকার মৃত নুর উদ্দিনের ছেলে।
গত শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) গুলি করার নির্দেশদাতা হিসেবে ঈশ্বরদী পৌরসভার এক নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, গুলিবর্ষণের হুকুমদাতা হিসেবে প্রধান আসামি এবং গুলিবর্ষণ করার দায়ে তার ভাতিজা এক নাম্বার ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি হৃদয়কে আটক করে হাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে বুধবার (৪ জানুয়ারি) ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পশ্চিমটেংরী কাঁচারীপাড়া এলাকার ভটভটি ও লেগুনার সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ বিতর্কে জড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক সমঝোতাও হয়। এ সময় দুটি গ্রুপে সংঘর্ষ হয়। পরবর্তীতে একটি গ্রুপ এসে গুলিবর্ষণ ও হামলা চালায়। এতে একটি গ্রুপের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মামুন মারা যায়।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) ঈশ্বরদী থানায় বাদী হয়ে নিহতের মা লিপি খাতুন হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় কামাল হোসেন দুই নাম্বার আসামি ছিল।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বাংলানিউজকে জানান, দুই গ্রুপের কথা কাটাকাটির জেরে একপর্যায়ে গুলিবর্ষণ ও হামলায় মামুন নামে এক যুবক মারা যায়। পরবর্তীতে নিহতের মা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, গুলি চালানোর নির্দেশদাতা ও প্রধান আসামি কামাল উদ্দিন, গুলিবর্ষণকারী হৃদয়কে গ্রেফতারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়। দুইজন আসামি পলাতক ছিল। বুধবার (১১ জানুয়ারি) উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া বাজার এলাকা থেকে গুলিবর্ষণ করার দ্বিতীয় পলাতক আসামি আনোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ওই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, আসামি আনোয়ার হোসেন ঈশ্বরদী শহরের শৈলপাড়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছিল। বড় ভাই কামাল এক নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ সভাপতি হওয়ার কারণে যুবলীগ কর্মী না হলেও নিজেকে যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতো। ঈশ্বরদী পৌরসভার এক নাম্বার ওয়ার্ড এলাকায় রেলের তেল চুরি, চাঁদাবাজি, রেলের কোয়াটার বিক্রি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বিভিন্ন সন্ত্রাী কর্মকাণ্ড করলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতো না। তাকে গ্রেফতারের পর জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ১২ জানুয়ারি ২০২৩
জেএইচ