ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পরিবার খুঁজছেন সৌদিফেরত এক বৃদ্ধ প্রবাসী

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
পরিবার খুঁজছেন সৌদিফেরত এক বৃদ্ধ প্রবাসী

ঢাকা: সৌদি আরবফেরত এক প্রবাসী বৃদ্ধ তার পরিবারকে খুঁজছেন। তিনি নিজের নাম বলছেন আবুল কাশেম।

তার দাবি, ২৫ বছর আগে তিনি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তার তিন ছেলে ও ছয়কন্যাসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন। তবে সুনির্দিষ্টভাবে তিনি তার ঠিকানা বলতে পারছেন না। বর্তমানে তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারে অবস্থান করছেন।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগামের কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশসহ সবার সহযোগিতায় বিদেশফেরতদের জন্য আমরা নানান ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। এরই অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশ শনিবার বিকেলে ওই বৃদ্ধকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে দেন। ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী এ বৃদ্ধ সম্ভবত শুক্রবার দিনগত রাতে জেদ্দা থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছেন। তার কাছে কোনো পাসপোর্ট ছিল না। তিনি ট্রাভেল পাস নিয়ে এসেছেন।

শরিফুল হাসান জানান শারীরিকভাবে সুস্থ মনে হলেও সম্ভবত তিনি ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত। এ কারণেই তিনি সঠিকভাবে তার ঠিকানা বলতে পারছেন না। তিনি জানাচ্ছেন তার নাম আবুল কাশম। বাবার নাম ফজেল আহমেদ। মাতা সাবানা। স্ত্রীর নাম বলছেন আমেনা। নিজের ঠিকানা তিনি কখনো বলছেন চট্টগ্রামের নয়াবাজার। কখনো বলছেন টেকনাফ। আবার কখনো রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের গরিশংকরহাটের কথাও বলছেন। আবার বলছেন, চট্টগ্রামের নতুন বাজার হালিশহরের কাছে, ঈদগাহের মাঠ বউ বাজার এলাকায় তার ছেলের সবজির দোকান আছে। আমরা তার বাড়ি কোথায় নিশ্চিত হতে না পারলেও ভাষা শুনে এটুকু বুঝতে পারছি তার বাড়ি চট্টগ্রাম অঞ্চলে।

আবুল কাশেমের দাবি, তার ছয় মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে। তার তিন ছেলের নাম মান্নান, নূর হাসান ও এনামুল হাসান। এদের মধ্যে নূর হাসানের তরকারির দোকান আছে। ছোট ছেলে এনামুল হাসান দুবাই থাকেন। মান্নান সৌদি আরবে থাকেন বলে তিনি দাবি করেছেন। তার আট থেকে ১০ জন নাতি-নাতনি আছেন। যেহেতু তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর দেশে ছিলেন না তাই সঠিকভাবে সব কথা বলতে পারছেন না। তার বক্তব্য অনুযায়ী প্লেনে ওঠার আগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। ‌

শরিফুল হাসান বলেন, আমরা চট্টগ্রামের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। হালিশহর ও টেকনাফে খোঁজখবর করছি। বিমানবন্দরের পুলিশসহ পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা মনে করছি সবার সহযোগিতা পেলে তাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া সম্ভব। কেউ তাকে চিনতে পারলে বা কোনো তথ্য পেলে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল-আমিন নয়নের সঙ্গে ০১৭১২১৯৭৮৫৪ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
টিআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।