কৃষ্ণচূড়ার ছায়াঘেরা প্রশস্ত সড়ক। সাজানো-গোছানো নিরিবিলি পরিচ্ছন্ন এলাকা।
জানা যায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অনুমোদিত বেসরকারি খাতে দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ সুপরিকল্পিত আবাসন বসুন্ধরা হাউজিং। আবাসিক এলাকার উত্তরে ৩০০ ফুট এক্সপ্রেসওয়ে ধরে প্রসারিত হয়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। পাশের ২০০ ফুট লেকের সুশীতল হাওয়া শহুরে জীবনে নিয়ে এসেছে নির্মলতার ছোঁয়া। দক্ষিণে রয়েছে চার লেনের ১২০ ফুট মাদানি এভিনিউ। এলাকার প্রতিটি প্লটের সামনে কমপক্ষে ২৫ ফুট রাস্তা রয়েছে। আবাসিকের ভিতরে ২০০ ফুট থেকে শুরু করে ১৩০ ফুট সড়কের নেটওয়ার্ক পুরো এলাকায়। সুপারি, নারিকেল গাছের ছায়াঘেরা ২৫ কিলোমিটার খাল এঁকেবেঁকে গেছে এলাকাজুড়ে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভিতরে ও সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে পাঁচটি স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন স্কুল রয়েছে ১৩টি। আন্তর্জাতিক চেইন হাসপাতাল এভারকেয়ারসহ রয়েছে আরও চারটি বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। মসজিদের শহর ঢাকার ঐতিহ্য ধরে রেখে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় রয়েছে ৪৪টি মসজিদ। নির্মাণ সম্পন্ন হলে কেন্দ্রীয় মসজিদে এক সঙ্গে ১ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। ১০৫ বিঘা জমিতে এগিয়ে চলছে কবরস্থান ও ঈদগাহ নির্মাণের কাজ।
আন্তর্জাতিক ইভেন্ট, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, মেলা, প্রদর্শনী কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য দেশের সর্ববৃহৎ কনভেনশন সেন্টার গড়ে তুলেছে বসুন্ধরা হাউজিং। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) রয়েছে সুবৃহৎ পাঁচটি হল। এই হলগুলোতে এক সঙ্গে ১০ হাজার অতিথির আপ্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে। সুবিশাল পার্কিং জোনে ৩ হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা রয়েছে।
নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা। বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় ১ হাজার নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন। প্রতিটি পয়েন্টে আটিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। সন্ধ্যা নামলেই প্রজাপতি নকশার সড়ক বাতিতে ঝলমল করে ওঠে এলাকা। সরকারি-বেসরকারি অধিকাংশ ব্যাংকের শাখা রয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। ইট, কাঠ, পাথরের এই শহরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাজুড়ে রয়েছে চোখ জুড়ানো সবুজ গাছের সারি। বসুন্ধরার বাসিন্দা বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা সাইফুল রহমান বলেন, ‘অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যায় হাঁটতে বের হই। আমি জগিং করি আর আমার ছয় বছর বয়সী ছেলে সাইকেল নিয়ে পাল্লা দেয় আমার সঙ্গে। নিরাপদে নির্বিঘ্নে নারী, শিশু, বৃদ্ধরা হাঁটছে-গল্প করছে। রাজধানীর অন্য এলাকায় এই চিত্র কল্পনা করা যায় না। নেই মাইকের শোরগোল কিংবা গাড়ির কান ফাটানো হর্ন। আমার কাছে বসুন্ধরা বসবাসের জন্য সেরা আবাসিক এলাকা। ’
খেলাধুলার জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করছে বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স। প্রায় ২৫০ বিঘা জায়গার ওপর গড়ে উঠছে সুবিশাল স্পোর্টস কমপ্লেক্স। এখানে থাকছে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ফুটবল মাঠ, ড্রাইভিং সুবিধাসহ সুইমিং পুল। এ ছাড়া হকি, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবলসহ নানারকম খেলাধুলার আয়োজন। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) মানদন্ড অনুযায়ী তৈরি করা হচ্ছে ফুটবল মাঠ। সেখানে থাকবে ১০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার গ্যালারি। ক্রিকেট মাঠে ৩০ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। শিশুদের শৈশব আনন্দময় করে গড়ে তুলতে ৬০ বিঘা জায়গার ওপর তৈরি করা হচ্ছে গ্রিন পার্ক। ৫০ বিঘা জায়গা নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে গলফ কোর্স। ১৪৪ জন গলফার একসঙ্গে গলফ খেলতে পারবেন এ কোর্সে।
নাগরিক সুবিধায় বিনোদন এক অন্যতম অনুষঙ্গ। বিভিন্ন বয়সী মানুষের কথা চিন্তা করে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গড়ে তোলা হচ্ছে বিনোদন কেন্দ্র। শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে প্রয়োজন উন্মুক্ত খেলাধুলার জায়গা। শিশুদের আনন্দ বিনোদনের জন্য ৫৬ বিঘা জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে বসুন্ধরা টগি ক্লাব। ওয়াটার রাইডসহ ৫০টিরও বেশি রাইড থাকবে টগি ক্লাবে। নাগরিক সুবিধার সব আয়োজনই রয়েছে এখানে।
গড়ে উঠছে সুপরিসর বিনোদন কেন্দ্র, ৫৬ বিঘা জমির ওপর বসুন্ধরা টগি ক্লাব
শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে চাই আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৫৬ বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠছে বিশ্বের অন্যতম ও দেশের প্রথম বৃহৎ পরিসরের বিনোদন কেন্দ্র ‘বসুন্ধরা টগি ক্লাব’। যেখানে শিশুদের পাশাপাশি সব বয়সী মানুষের জন্য থাকবে নানা ধরনের বিনোদনের আয়োজন। অসংখ্য রাইডের সুযোগ। বসুন্ধরা টগি ক্লাবে থাকছে লেজার ও মিউজিক্যাল ফাউন্টেইন, সুইমিং পুল, পাঁচ শতাধিক মানুষের বসার জন্য ফুডকোর্ট। থাকবে মাল্টিপারপাস শো ও কনসার্ট আয়োজনের ব্যবস্থা। এ ছাড়াও থাকবে ওয়াটার রাইডসহ ৫০টিরও বেশি ইনডোর রাইড। আউটডোর সুবিধার মধ্যে থাকছে মিনি ক্রিকেট ফিল্ড, ফুটসাল, টেনিস এবং বাস্কেটবল। বসুন্ধরা টগি ক্লাবে সংযোজিত হচ্ছে প্যাডেল টেনিস, কিডজ থিয়েটার। এ ছাড়াও থাকছে ট্রাম্পলিং পার্ক, রোপ অ্যাডভেঞ্চার লেজার গেমসহ আরও অনেক ইনডোর ভি আর এন্টারটেইনমেন্ট জোন।
মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল
আধুনিক শিক্ষার প্রথম পর্যায় প্রাথমিক শিক্ষা। যেখানে থাকবে সততা, আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা। এমন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে বসুন্ধরা আবাসিক এবং সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেমন- আই এস ডি স্কুল, আগা খান একাডেমি, সেন্ট জ্যাভিয়ার স্কুল, প্লে-পেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, এবিনেজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সানিডেল স্কুল, স্যার জন উইলসন স্কুল, সাউথ পয়েন্ট স্কুল ও কলেজ, এঙ্করেজ স্কুল (নেভাল স্কুল), অস্ট্রেলিয়ান স্কুল, ভিকারুন্নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রয়েল গ্রামার স্কুল। আছে দেশের স্বনামধন্য পাঁচটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও। সেগুলো হলো- নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আই ইউ বি), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এ আই ইউ বি), ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউ আই ইউ)। প্রস্তাবিত প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দেখাও মিলবে খুব শিগগিরই। এক কথায়, প্রাথমিক থেকে উচ্চতর শিক্ষার সব সুযোগ-সুবিধা মিলছে বসুন্ধরায়। এ ছাড়াও এই আবাসিক এলাকায় রয়েছে পাঁচ তারকা চেইন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এর মধ্যে এভারকেয়ার হসপিটালস, বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, ডি আকবর, বারডেম বসুন্ধরা ব্রাঞ্চ এবং রিমেডি হাসপাতাল অন্যতম। সুশিক্ষা আর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে।
প্রজাপতির ঝলমলে আলো
সন্ধ্যা নামলেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা আলোকিত হয়ে ওঠে প্রজাপতি আকৃতির ঝলমলে সড়ক বাতিতে। বসুন্ধরা আই হসপিটাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সামনের সড়কে স্থাপন করা হয়েছে অনিন্দ্য সুন্দর সড়কবাতি। কালো লম্বা খুঁটির মাথায় হলুদ ডানা। সারি সারি সড়কবাতি শোভা পাচ্ছে পুরো রাস্তায়। প্রায় ২ হাজার সড়কবাতিতে আলোকিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। সন্ধ্যায় হাঁটতে বের হন অনেকে। দৌড়ঝাঁপ করে বেড়ায় শিশুরা। শিশুরা সাইকেল চালায়। আলো ঝলমল সড়কে নিশ্চিন্তে নিরাপদে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ। এ ছাড়া সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় রয়েছে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন লেক। পথে-প্রান্তর সবুজের সমারোহে সাজানো হয়েছে বসুন্ধরা আবাসন। উদ্দেশ্য একটাই, ‘সবুজে থাকি ও সবুজে বাঁচি’। সবুজ বনায়নে জোর দিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হয়ে উঠেছে কোলাহলমুক্ত শান্তিপূর্ণ এলাকা।
বিশ্বমানের সব আয়োজন
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় রয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার থেকে শুরু করে আড্ডা, বিনোদন, ফিটনেস সেন্টারসহ নানা আয়োজন
শপিংয়ের জন্য বসুন্ধরা আবাসিক ও সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে শপিং কমপ্লেক্স যমুনা ফিউচার পার্ক, রূপায়ণ শপিং স্কয়ার, বাজার সারাবেলা, মেহেদী মার্ট, ঢালী কাঁচাবাজার। এ ছাড়াও বসুন্ধরায় বেশ কিছু কর্নার শপ তৈরির কাজও চলছে। রয়েছে অসংখ্য ফুডকোর্ট ও রেস্টুরেন্ট। যেমন- বসুন্ধরা হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট, হারফি, ফুডহল, সিগ্নেচার রেস্টুরেন্ট, রাজবাড়ী ফুডকোর্ট, উডেন স্পুন, দেশি বিটস, সুশি অকি, সিক্রেট রেসিপি। রয়েছে অনেক কফি শপ। যেমন- ক্রিমসন ক্যাফে, অ্যারাবিকা কফি শপ, আ-ও্যাক কফি শপ। নির্দিষ্ট জোনে কমার্শিয়াল প্লটে রয়েছে দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের করপোরেট অফিস। আবাসিক এলাকার আই ব্লকে আছে স্বনামধন্য ফিটনেস সেন্টার। রয়েছে জিমনেসিয়াম, সুইমিং পুল, ব্যাডমিন্টন কোর্টসহ নানা রকম সুবিধা।
এলাকাজুড়ে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা
নিজস্ব সিকিউরিটি সার্ভিসে রয়েছে ১ হাজার নিরাপত্তা প্রহরী। আছে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং ব্যবস্থা
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় রয়েছে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এলাকাবাসীর সার্বিক নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বসুন্ধরার নিরাপত্তারক্ষীরা কাজ করেন দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা। বসুন্ধরার নিজস্ব সিকিউরিটি সার্ভিসে রয়েছেন ১ হাজার নিরাপত্তাকর্মী। যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিশ্চিত করেন বাসিন্দাদের নিরাপত্তা। এ ছাড়াও রয়েছে সিসিটিভি ও সিকিউরিটি হেল্প লাইন। নিজস্ব পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ আরও অনেক কিছু। এমনকি দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি সাহায্যের জন্য বসুন্ধরায় রয়েছে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ গাড়িসহ প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ ফায়ার ফাইটিং ইউনিট।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
জেডএ