ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সড়ক নিরাপদ করা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
সড়ক নিরাপদ করা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সড়ক ও পরিবহন খাতকে নিরাপদ করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এ কথা জানান।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেগুলো চলমান রয়েছে সেগুলো শেষ করা। আমাদের এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সড়ক নিরাপদ করা, পরিবহন নিরাপদ করা, সড়ক এবং পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা। এটা আমাদের এখন প্রথম অগ্রাধিকার। বিশ্ব ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবো। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষের সচেতনতা। জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে। মানুষ সচেতন না হলে কোনো উন্নয়নে পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারবে না।

ঢাকার বায়ুদূষণ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আজকে উন্নয়ন অর্জনে বিশ্বে বিস্ময়। সেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বায়ুদূষণে এক নম্বরে রয়েছে, এটা খুবই লজ্জার বিষয়। ঢাকায় বায়ুদূষণ এখন খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। এটা অবশ্যই মনুষ্যসৃষ্ট। যে ইটের ভাটাগুলো চলছে, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে ধুলার সৃষ্টি এবং রাস্তায় পানি না ছিটানো; রাস্তায় প্রতিদিনই পানি ছিটাতে হবে এবং এই দায়িত্বটা সিটি কর্পোরেশনকেই পালন করতে হবে।

ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের ঢাকার দুজন মেয়র খুবই উদ্যমী। আমি তাদের অনুরোধ করব বায়ুদূষণ রোধে তারা যেন কার্যকর পদক্ষেপ নেন। মাটি থেকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ইট তৈরি করা আমাদের পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলো বন্ধ করে ব্লক ইট ব্যবহার বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে নজর দেয়ার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি। কী কী কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, সেটা খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

মঙ্গলবার সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিআরটিএ-এর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা যাত্রী, পথচারী, মোটরযান চালকদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করছেন, মাইকিং করছেন। পথচারীদের ফুটপাত ও জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপারে বাধ্য করেন। যারা জোর করে রাস্তা পারাপারের চেষ্টা করেছেন তাদের ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জরিমানা করিয়ে সচেতন করেছেন কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
মেট্রোরেলের পোস্টার না সরালে ব্যবস্থা নেবো: ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৩
এসকেবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।