ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জার্মানির সহযোগিতা কামনা স্পিকারের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জার্মানির সহযোগিতা কামনা স্পিকারের

ঢাকা: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে জার্মানির সহযোগিতা কামনা করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) স্পিকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সফররত জার্মান পার্লামেন্টারি ডেলিগেসনের সদস্যদের সাক্ষাতের সময় তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।

জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন- রিনেট কুনাস্ট, আন্দ্রিয়াস লারেম, পল লারিডার, রিয়া স্রডার, আন্দ্রে হান ও মাল্টে কৌফমান।

সাক্ষাতকালে তারা বাংলাদেশ-জার্মানি সুদীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, জলবায়ু অভিযোজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন, বাংলাদেশে নারীদের অগ্রগতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে জার্মানির বিনিয়োগ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

শিরীন শারমিন বলেন, বাঙালি জাতি ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে, যে কারণে আজ একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে জার্মানি স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিগত পঞ্চাশ বছরে আজ অনন্য উচ্চতায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নের পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা আনয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব বিবেচনায় টেকসই উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন, ২০০৮ সালে নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ এবং জলবায়ু অভিযোজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন সরকারের মূল লক্ষ্য। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে জার্মানির অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।

রিনেট কুনাস্ট এমপি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব বিবেচনায় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ দেশ। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বহিঃপ্রকাশ। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা স্থিতিশীল রয়েছে যা প্রশংসনীয়।

বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করে রিয়া স্রডার বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের কল্যাণ নিশ্চিতকরণ সবারেই দায়িত্ব।

পোশাক শিল্পখাতে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে পল লারিডার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

আন্দ্রিয়াস লারেম বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে।  

এ সময় স্পিকার বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি, বৈশ্বিক ডলার ও জ্বালানি সংকটের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি হিমশিম খেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক কাঠামোর উত্তরণের প্রশংসা করে জার্মানির সংসদীয় প্রতিনিধিদল। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অধিকার রক্ষার্থে তাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে জার্মানির সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
এসকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।