ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহ এলাকার কুখ্যাত রাজাকার গোলাম রব্বানীকে (৭১) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কর্তৃক আমৃত্যু কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত গোলাম রাব্বানী দীর্ঘ আট বছর ধরে পলাতক ছিলেন।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজার থেকে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল হক জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহ এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে খন্দকার গোলাম রব্বানীসহ অন্যান্য রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ, পাশবিক নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও গুমসহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।

১৯৭১ সালের ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ময়মনসিংহের বিখ্যাত ভাস্কর আব্দুর রশিদকে অপহরণ, নির্যাতনের পর দড়ি দিয়ে জিপের পেছনে টেনে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা ও মরদেহ গুম এবং ২ আগস্ট ত্রিশাল থানার বৈলর হিন্দুপল্লী ও মুন্সিপাড়ায় অগ্নিসংযোগ, সেন্টুকে গুলি করে হত্যা ও দুজন হিন্দুকে গুলি করে আহত, শহীদ আ. রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিনি সরাসরি অভিযুক্ত।

এছাড়া যুদ্ধকালীন জামায়াত ইসলামীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন রাব্বানী। ২০১৫ সালের ১৯ মে ময়মনসিংহের আদালতে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন একটি মামলা দায়ের করেন। তখন ময়মনসিংহের এক নম্বর আমলি আদালতের বিচারক এজাহারটি গ্রহণ করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পাঁচটি পৃথক অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি তার আমৃত্যু কারাদণ্ড সাজা দেন। তিনি মামলা দায়েরের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। তার নামে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
পিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।