ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জিওসাইকেল পদ্ধতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৩
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জিওসাইকেল পদ্ধতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা 

ঢাকা: দেশের প্লাস্টিক দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে পরামর্শ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জিওসাইকেল পদ্ধতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। একই সঙ্গে টেকসই প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন্স প্রণয়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

 

বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে সভা কক্ষে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ কথা জানান।

সভায় সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে পলিসি ও অর্থায়ন কৌশল বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে প্রস্তাবনা উপস্থাপনা করা হয়।

প্রসঙ্গত, উচ্চ তাপসম্পন্ন চুল্লীতে (দেড় হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সম্পন্ন) কোনো ধরনের অবশিষ্ট ছাড়াই ময়লা-আবর্জনাকে পুড়িয়ে ফেলার বিশেষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা হচ্ছে জিওসাইকেল।  

পরিবেশ সচিব জিওসাইকেল পদ্ধতির প্রশংসা করে সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, এ বর্জ্যব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পরিবেশসম্মত ও কার্যকরীভাবে বাস্তবায়নযোগ্য মনে হলে সরকার এটি বাস্তবায়ন করবে। কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার্স রেন্সপন্সিবিলিটি (ইপিআর) প্রস্তুত করছে বিশ্বব্যাংক।

একই সঙ্গে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি জিওসাইকেল বাস্তবায়ন বিষয়ে লাফার্জ হোলসিমের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।  

সচিব ড. ফারহিনা আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো. মিজানুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ইউন জু অ্যালিসন ইয়ি, বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ মন্ত্রণালয়, বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্লাস্টিক বিষয়ক ইপিআর এর খসড়া গাইডলাইন্স বিষয়ে বক্তব্য দেন।  

লাফার্জ হোলসিমের জিওসাইকেল বিভাগের প্রধান কৌশিক মুখার্জি দূষণ নিয়ন্ত্রণে জিওসাইকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উপস্থাপন করেন।  

তিনি জানান, আশি থেকে দুই হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সম্পন্ন চুল্লিতে কোনো ধরনের অবশিষ্ট ছাড়াই ময়লা-আবর্জনাকে পুড়িয়ে ফেলার পদ্ধতি জিওসাইকেল বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এটি বাস্তবায়ন করছে হোলসিম।

তিনি বলেন, জিওসাইকেল পদ্ধতিতে শতভাগ বর্জ্য পুড়ে যায় ও জীবাশ্ম জ্বালানির স্থলে আবর্জনা ব্যবহার করা হয় বলে এ প্রক্রিয়া গ্রিন হাউজ গ্যাস উৎপাদন করে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৩
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।