ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৭ মার্চের ভাষণ শক্তি-প্রেরণার চিরন্তন উৎস

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৩
৭ মার্চের ভাষণ শক্তি-প্রেরণার চিরন্তন উৎস

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে শক্তি ও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।  

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।

‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ- বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রামের চিরন্তন প্রেরণা’- শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামসের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব শাব্বির আহমদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন লে. কর্নেল (অব:) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক।

সেমিনারের মূল বক্তা লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, বিশ্বের ২৪০০ বছরের ৪১টি শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ রয়েছে। কিন্তু এতগুলো ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এ অন্তর্ভুক্তির বিশেষ কারণ রয়েছে। অন্যান্যদের ভাষণগুলোর প্রত্যেকটি নিরাপদ পরিবেশে সুরক্ষিত স্থান থেকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ একমাত্র ভাষণ যা তিনি অরক্ষিত অবস্থায় দিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানের দূরদর্শিতার কথা উল্লেখ করে সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, যদি বঙ্গবন্ধু সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দিতেন তাহলে লাখ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হতো, বঙ্গবন্ধু মানুষকে মারতে চাননি। তাই তিনি ৭ মার্চে অত্যন্ত সুচারুভাবে স্বাধীনতার ডাক দেন, কিন্তু ঘোষণা দেননি। আর মানুষ সেটা গ্রহণ করেছিল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব শাব্বির আহমদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি অব হেরিটেজ ইন দ্য মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্তি এবং বিশ্বের ইতিহাসবিদদের মূল্যায়নের অর্থ হচ্ছে- বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু আমাদেরকে অর্থাৎ বাঙালিকে উদ্বুদ্ধ করেছে তাই নয়, বরং এর আকর্ষণ এই ভাষণের সময়, স্থান ও উপস্থিত দর্শক-শ্রোতার সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে চিরন্তন প্রেরণার উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডি এম সালাহ উদ্দিন মাহমুদ। এরপর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর নির্মিত একটি অডিও-ভিজুয়াল প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসের নবীন কর্মকর্তা রাবিতা বিনতে হান্নান এবং গাম্বিয়ার প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তা মাদি সায়ো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে তাদের নিজেদের মূল্যায়ন তুলে ধরে বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২৩
টিআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।