ঢাকা, সোমবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চনপাড়া বস্তি ফের উত্তপ্ত: নেপথ্য কারণ!

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৩
চনপাড়া বস্তি ফের উত্তপ্ত: নেপথ্য কারণ!

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তির ডন বজলু মেম্বার গত ৩১ মার্চ মারা যাওয়ার পর থেকে সেখানে এখন চলছে আধিপত্যের লড়াই। বস্তির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কব্জায় রাখতে গত দুই সপ্তাহে সেখানে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এসব সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  

বস্তির আধিপত্য ধরে রাখা, আসন্ন ইউপি সদস্য পদে উপ নির্বাচন আর প্রভাবশালীদের ইন্ধন এসব সংঘর্ষের মূল কারণ বলে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর র‍্যাবের অস্ত্র ও মাদক বিরোধী অভিযানের সময় র‍্যাব সদস্যদের ওপর হামলা করে সেখানকার সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় সরাসরি অংশ নেন বজলু মেম্বার, তার সহযোগী রাজা, সিটি শাহিনসহ আরও কয়েকজন। তারা সবাই রূপগঞ্জের এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর নিজস্ব লোক হিসেবে পরিচয় দেন নিজেদের।

এই হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক সন্ত্রাসী রাজাকে গ্রেফতার ও পরে গত ১০ নভেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান সিটি শাহিন।

ঘটনার ১২ দিন পর বজলুকেও আটক করে র‍্যাব-১। এই পরিপ্রেক্ষিতে বজলুর প্রতিপক্ষ ডাকাত সমসের, সাহাবুদ্দিন এলাকায় প্রবেশ করেন।  

সমসের, সাহাবুদ্দিন আর মহিলালীগ নেত্রী রিতার নেতৃত্বে নতুন গ্যাংয়ের উত্থান ঘটে চনপাড়ায়। তাদের নেতৃত্বে চলে চনপাড়ার সব ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড।

 

 

এদিকে, গত ৩১ মার্চ কারা হেফাজতে থাকা বজলু মেম্বার মারা গেলে বজলুর মেম্বার পদটি শূন্য হয়ে পরে। এ অবস্থায় নতুন গ্যাং তৈরি করে আরেক মাদক সম্রাজ্ঞী ইয়াছমীন ও বজলুর ডানহাত হিসেবে পরিচিত জয়নাল। চনপাড়ায় নিজের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে দুই গ্যাংয়েরই পৃষ্টপোষকতা করার অভিযোগ উঠেছে, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে এমনটা জানান স্থানীয়রা। তারা জানান, গাজীর আশ্রয় প্রশ্রয়ে উভয় গ্যাং এখন বেপরোয়া। যখন তখন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শুরু হয় সংঘর্ষ।  

সর্বশেষ বস্তির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার রাতে জয়নাল গ্রুপের সাথে সমসের গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন গুরুতর জখম হয়েছে।

চনপাড়ায় এখন আবার নতুন করে শুরু হয়েছে ত্রাসের রাজত্ব। পাশাপাশি মাদক ব্যবসা, খয়ের পার্টি, মলম পার্টি, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্র ব্যবসাসহ সকল ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড চলছে আগের চেয়ে আরও অধিকভাবে। এসব অপরাধ কর্মকাণ্ডে সেখানকার নিরীহ বাসিন্দারা এখন শংকিত।

স্থানীয়দের মতে, রাজনৈতিক শেল্টার বন্ধ না হলে এই গ্যাংদের প্রতিরোধের ক্ষমতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৩
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।