ঢাকা: নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
রোববার (০৬ আগস্ট) স্থায়ী মিশন জানায়, অনুষ্ঠানের শুরুতেই বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে জাতির পিতার পরিবারের সব শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানটিতে মূল বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, শেখ কামাল ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা কিংবদন্তী। মাত্র ২৬ বছর আয়ুকালে তিনি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অসংখ্য অবদান রেখে গেছেন। একজন নিবেদিত, সংগ্রামী ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন শহীদ শেখ কামাল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সরাসরি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠা, ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আন্দোলনের একজন পুরোধা। তিনি স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে যে অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছে, তার মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হচ্ছে স্বপ্নদর্শী তরুণ শেখ কামালের স্বপ্ন। অবশেষে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও কর্মকে অনুকরণ করে দেশের জন্য কাজ করার জন্য বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বক্তব্য দেন। আলোচনায় শহীদ শেখ কামালের জীবন ও কর্মের নানাদিক উঠে আসে। বক্তারা প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, শেখ কামালের আদর্শ ধারণ করে দেশের যুবসমাজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে আরও উচ্চতর আসনে তুলে ধরবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২৩
টিআর/এসআইএ