ঢাকা: রাজধানীর জুড়ে ডিমের আড়তে চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত মূল্য কারসাজির অভিযোগে প্রায় ১৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা লক্ষ্য করেছি এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজি মাধ্যমে ডিমের দাম বৃদ্ধি করেছে। তারা অবৈধভাবে ডিম মজুদ করে অসাধু উপায়ে চড়া মূল্যে বিক্রি করছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করার হচ্ছে। বেশ কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রাজধানীর বাড্ডা, কাপ্তানবাজার ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় র্যাবের অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে চলা এই অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। যেসকল ব্যবসায়ীরা কারসাজি মাধ্যমে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলবে তাদের বিরুদ্ধে র্যাব আইনানুগ গ্রহণ করব।
এদিকে, বাড্ডার অভিযান নিয়ে র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. পারভেজ রানা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির আড়ালে দৈনন্দিন বাজারদর বৃদ্ধি করে তারা সরকারি অনুমোদন ব্যতিত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিক্রি করে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১ এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন উত্তর বাড্ডা, সাত্তারকুল রোড এলাকায় ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় র্যাব ফোর্সেস সদরদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির শাহের নেতৃতে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ আইন মোতাবেক ন্যায্য মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রয় এবং মূল্য তালিকা না থাকার অপরাধে আমিন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. নুরুল আমিনকে ৩০ হাজার টাকা, সুমনের ডিমের আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. সুমনকে ৩০ হাজার টাকা, এম.বি.এ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুবুল আলমকে ৩০ হাজার টাকা এবং আব্দুল্লাহ স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. আমিনুলকে ৩০ হাজার টাকা, ফলের মেলা’র স্বত্বাধিকারী মো. রাসেলকে ২০ হাজার টাকা, কামরুল রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী পরিমল চন্দ্র দেকে ২০ হাজার টাকা এবং নিউ গ্রিন ঢাকা রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ আ. হান্নানকে ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ১০ টাকা জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৩
এসজেএ/এমএম/ইউপি৭১