খাগড়াছড়ি: জেলা সদরের ভূয়াছড়ি এলাকার বায়তুন আমান ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ছাত্র মো. আবদুর রহমান আবির (৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে নিহতের বাবা মো. সরোয়ার বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
রোববার (২৭ আগস্ট) হত্যার শিকার হয় আবির। সে ওই মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। তার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নানা অজুহাতে আবিরকে নির্যাতন করে আসছিলেন হাফেজ আমিনুল ইসলাম। রোববার বিকেলেও তিনি তাকে নির্যাতন করেন। পরে আবির বমি করে। পরে হাফেজ আমিনুলই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করলে আমিনুল পালিয়ে যান।
এ ছাড়াও আবিরের পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও সহপাঠীরা আমিনুলের নির্যাতনের বর্ণনা দেন। আবিরের খালু নুরুল ইসলাম মোহাম্মদ জানান, তার ছেলেও একই মাদরাসায় পড়ে। সে জানিয়েছে আবিরকে প্রায়ই জর্দা খেতে দিত আমিনুল। খেয়ে বমি করলে বেদম মারধর করতেন তিনি। এমনি একবার তাকে দানবাক্সে ঢুকিয়ে তালা মেরে রাখে। অনেক পরে তাকে বের করে। একই তথ্য আবিরের সহপাঠীরাও জানিয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শ্বাশতি দাশ জানান, আবিরের মুখসহ পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মো. আমিনুল ইসলাম পলাতক।
খাগড়াছড়ি সদর থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই) বলেছেন, মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ আসামি আমিনুলকে খুঁজছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে আমিনুল ইসলাম পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
এডি/এমজে