ঢাকা, শনিবার, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘তাঁতিদের স্বার্থের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩
‘তাঁতিদের স্বার্থের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী’

ঢাকা: তাঁতিদের স্বার্থের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় তাঁতি সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন। সাধারণ তাঁতিদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা ও জাতীয় তাঁতি সমিতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।  

মনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে সরকারের নতুন শর্ত মেনে সাধারণ তাঁতিরা সঠিকভাবে প্রয়োজনীয় সুতা পাচ্ছেন এবং সবাই লাভবান হচ্ছেন। একটি চক্রান্তকারী গোষ্ঠী এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নানা প্রকার অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা মূলত তাঁতি নয়। এজন্য সরকারের কাছে আমাদের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।  

তিনি  বলেন, সরকারের নতুন শর্তগুলো হলো আমদানিকারকরা নিজেদের এলাকার ব্যাংকে এলসি খুলবে এবং তাঁতি বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসনের অবগত রেখে পূর্ব ঘোষিত সময়ে তাঁতিদের সুতা বিতরণ করা হবে। কিন্তু অসাধু চক্রটি এই নিয়ম মেনে সুতা নিতে রাজি নয়। তারা নিজেদের সুবিধামতো সুযোগ চাচ্ছে।  

লিখিত বক্তব্যে জাতীয় তাঁতি সমিতির সভাপতি বলেন, গত ৪ আগস্ট মো. ফজলুল হক প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি একজন প্রাক্তন ব্যাংক কর্মচারী। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে সুতার ব্যবসা করেন। তিনি তাঁতি হলেন কীভাবে বা তাঁর তাঁতে কী পণ্য উৎপাদন হয়, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

জানা যায়, তিনি অনেক দিন ধরে সুতার ব্যবসায় নিয়োজিত। পাবনা জেলার দোগাছিতে ২০১৯ সালে দোগাছি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড প্রাথমিক তাঁতি সমিতির নামে সুতা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হওয়ায় তার নামে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা চলমান। এই মামলায় সম্পৃক্ত থাকার দায়ে সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবনা অফিস থেকে মো. ফজলুল হককে তলব করা হয় এবং তিনি হাজিরা দেন।  

গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। তিনি জাতীয় তাঁতি সমিতির সাবেক সভাপতি। তিনি ২০০৯ সালের ২৭ মে থেকে  ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় তাঁতি সমিতির কমিটিতে ছিলেন। তার আমলে ৫১টি প্রাথমিক তাঁতি সমিতি আমদানি সুপারিশ পায়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের সুতা ব্যবসায়ী ফজলুল হক এবং হাজী আ. ছাত্তারের যোগসাজসে তারা আমদানিকৃত মালামাল তাঁতিদের মাঝে বিতরণ না করে টান বাজারে বিক্রি করেন। নিজেরা আর্থিকভাবে কোটি টাকা লাভ করেন। এ বিষয়ে তৎসময়ে অনেক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ। এ ছাড়া ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি সমিতির পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম, মো, লুৎফর রহমান, মো. আ. গনি মোল্লা, মো. আলী হোসেন, মো আশরাফ আলী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩
টিএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।