ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে গৃহবধূর মৃত্যু, স্বামী-ছেলে পুলিশ হেফাজতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
বরিশালে গৃহবধূর মৃত্যু, স্বামী-ছেলে পুলিশ হেফাজতে

বরিশাল: বরিশালে নিজ বাসায় এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে তিনি জখম হয়েছেন।

তবে সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী ও ছেলেকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

রোববার (২৬ নভেম্বর) ভোরে নগরের জর্ডন রোডের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্বজনরা জানিয়েছে।

মৃত গৃহবধূ ইসরাত জাহান এনি (৪০)। তিনি বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউপির হায়াতসার গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হক ফকিরের মেয়ে এবং নগরের সদর রোডের প্রিন্টিং ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন লিটনের স্ত্রী।

এনির ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান বলেন, বরিশাল নগরের জর্ডন রোডের একটি  ভবনের তৃতীয় তলায় নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে, শিশু কন্যা, স্বামী ও কলেজ পড়ুয়া ভাগ্নিকে নিয়ে থাকতেন এনি। ফজরের নামাজ পড়তে উঠে মাথা ঘুরে তিনি পড়ে যান। এ সময় তার হাতে থাকা সিরামিকের মগও পড়ে ভেঙে যায় এবং ভাঙা মগের একটি টুকরো তার কুচকিতে বিদ্ধ হয়।

মিজান বলেন, স্ত্রীর পড়ার শব্দ পেয়ে স্বামী লিটন ছুটে যান। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। অন্যান্যরা ছুটে এসে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানকার সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা এনিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এনির ভগ্নিপতি মিজান আরও বলেন, এনির ছেলেও জানিয়েছে পড়ে গিয়ে জখম হয়ে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো বিবাদ ছিল না। এনি ধার্মিক ও পর্দানশীল ছিলেন। তাই পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তারা লাশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে।

লাশের সুরতহাল তৈরিতে সহায়তা করা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসআই দোলা সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। তিনি গৃহবধূ এনির কুচকিতে তিন ইঞ্চি কাটা দাগ পেয়েছেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসেছেন। তারা ময়নাতদন্ত করবেন কি না সিদ্বান্ত নেবেন।

কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি বলেন, আপাতত ময়নাতদন্ত করার সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও ছেলেকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

উপ-পুলিশ কমিশনার কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভুঞা সাংবদিকদের বলেন, বিষয়টি দুর্ঘটনা মনে হচ্ছে না। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী ও ছেলেকে পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।